স্টাফ রিপোর্টার:চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিংসহ নানারকম হয়রানি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক মামলা দায়ের বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ।”
এমন একটি ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়। বদরগঞ্জ উপজেলার শাহাপুর বাসন্তী মন্দির পাড়ায় মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলার শিকার হচ্ছেন পিপাসা রানী ও তার পরিবার।
জানাযায়, ৮ থেকে ৯ মাস আগে, পারিবারিক ভাবে একটি মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা, হুমকি ও হেনস্তার শিকার হচ্ছে পিপাসা রানী।
ভুক্তভোগী পিপাসা রানীর অভিযোগ, ৮ থেকে ৯ মাস আগে মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায়, শাহাপুর বাসন্তী মন্দির পাড়ায় সেবিকা রানী মানের একটি মহিলা ও তার পরিবার, পিপাসা রানী উপর হামলা করে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা সেটার সমাধান করে দিতে চায়। কিন্তু মিথ্যা মামলা করা যাদের পেশা, তারা কি আর এভাবে সমাধান করে।
সেবিকা রানীর, পিপাসা রানীর কাছে একটা মোটা অংকের টাকা দাবী করে। কিন্তু পিপাসা রানী টাকা দিতে পারে না। পিপাসা রানী বলে, অপরাধ করেছে তারা, তাহলে আমি কেন টাকা দিব।
পিপাসা রানীর কথা শোনার পরে, সেবিকা মিথ্যা মেডিক্যালের কাগজ সংগ্রহ করে, রংপুর জেলা জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে তাদের মামলার বিপরিতে পিপাসা রানীও একটি মামলা দায়ের করে।
এখানেই থেমে নেই সেবিকা রানী ও তার সহযোগী গনেশ চন্দ্র রায়। তাদের এলাকায় যেকোনো ঘটনা ঘটলেই তারা থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পিপাসা রানীর বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে। যখন দেখছে কোনো ভাবেই তাদের হেনস্তা করতে পারছে না। তখন তারা নিজেদের বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দিয়ে পিপাসা রানীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
পিপাসা রানী বলেন, বিনা অপরাধে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে মানুষকে হেনস্তা করা একটি ফৌজদারি অপরাধ। বিষয় গুলো তদন্ত করে, যথা সময়ে অপরাধীদের প্রতি ব্যবস্তা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।