ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপের হাট ইউনিয়নের ধাপেরহাটের পূর্ব পার্শ্বে আজ শনিবার পীরের হাটের বাণ্নীর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেলা একদিনের হলেও পূর্বের দিন বিকেল থেকে জমে উঠে। এই মেলা প্রতি বছর বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ শনিবারে অনুষ্ঠিত হয়। কথিত আছে যে এক সময় ৪১ পীরের মিলন মেলায় বসত এখানে। তারা বছরে এই সময়ে এই জায়গায় একত্রিত হতো। তাদের সাগরেদ গনের আগমনে মুখরিত হতো এই স্হান।তাই পীরের আনাগোনায় মুখরিত এই মেলার নামকরণ হয়েছে পীরে হাটের বাণ্নীর মেলা। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে এই মেলা ধরে রেখেছে তার নিজেস্ব ঐতিহ্য। এখানে রয়েছে একাধিক নাম না জানা পীরের মাজার শরীফ। আজও মানুষ বিভিন্ন কারণে এই পীরের হাটে মাজারে রোগমুক্তির সহ বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মান্নত করে, পীরের ওসিলায় ভালো হলে সেই মান্নত আবার শোধও করে। এই পীরের হাটে রয়েছে একটি পুকুর এই পুকুরের পানির উপর রয়েছে মানুষের অগাধ বিশ্বাস মান্নতকারী যেমন পান করে তেমনি পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য বোতল ভরে নিয়ে যায় পান করানোর জন্য। বর্তমানে জায়গাটি সংকীর্ণ হওয়ায় মেলা খন্ডে খন্ডে বিভক্ত হয়েছে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দূর-দূরান্তের আত্মীয়-স্বজন বছরে একবার হলেও বেরাতে আসে পাশের গ্রাম গুলোতে মেলার বদৌলতে সাক্ষাৎ করে। এ মেলা থেকে অনেকেই সংগ্রহ করে তাদের এক বছরের গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিস, যেমন, মাটির হাড়ি পাতিল, কোদাল, কাস্তে, ছুরি, বটি, মসলা জাতীয় পণ্য কালিজিরা,বারো মসল্লা ইত্যাদি।
এখানে মেলার সময় মেয়েদের প্রসাধনী জিনিসের পাশাপাশি রয়েছে শিশু-কিশোরদের চিত্ত বিনোদনের জন্য নাগরদোলা হরেক রকম খেলনা। আত্মীয়ও বাড়ি বা নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় হরেক রকম খাবার সামগ্রী যেমন হরেক রকম মিষ্টি, জিলাপি, বুন্দা হুরুম, বাতাসা, তরমুজ, ছোট বড় মাছ ইত্যাদি।
এদিকে উক্ত মেলা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাশাপাশি মেলা ইজারাদার কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে মেলা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।