শহীদুল ইসলাম শহীদ, পঞ্চগড়।।বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং গণসারক্ষরতা অভিযান এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল অ্যাকশন সপ্তাহ পালিত হয়েছে । মঙ্গলবার বিকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড অফিসের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়
“শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল অ্যাকশন সপ্তাহ” শীর্ষক আলোচনা সভা। হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের প্রোগ্রাম অফিসার মোছা. মালেকা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়,্ প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাহরিয়ার নজির, বিশেষ ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আওলাদ হোসেন এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তৌকির আহমেদ।
অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আজগর আলী হারুন, পল্লী সাহিত্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ , এসভিডি সংস্থ্যার নির্বাহী পরিচালক
মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম। সভায় স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, নারী সংগঠক, গণমাধ্যমকর্মী , জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সংগঠক, সিভিল সোসাইটি, অভিভাবক, এনজিও প্রতিনিধি, ইয়ূথ লির্ডার এবং শিক্ষার্থীসহ সহশ্রাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, মানসম্মত শিক্ষায়, এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের এক সাথে কাজ করতে হবে,কোন বাধাই শিক্ষাকে থামিয়ে দিতে পারবেনা, করোনাকালে স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল কিন্তু অনলাইনে ,বাড়িতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করতো, মূলত এমন বিষয় গুলোই সংকটকালের শিক্ষা । শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন, জীবনের প্রয়োজনে এখন তোমাদের শিক্ষার প্রয়োজন আর এখন যদি তোমরা বিয়ে করে ফেলো তাহলে সংকট দেখা দিবেই, বিয়ে না করে, পড়াশুনা চলামান রাখলে সংকটে পড়ার সুযোগ থাকবে না। তাই যে সময় তোমার জীবনের শিক্ষা প্রয়োজন, তার জন্য যেন কোনরকম সংকট দেখা না দেয় । শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত পরিবেশ, তাদের মেধার বিকাশ, খেলাধুলা, নজরদারীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের খোজ খবর রাখা । জীবনের প্রয়োজনে চাই শিক্ষা, সংকটকালেও সুরক্ষিত চাই শিক্ষা। তিনি এ বিষয়ে আরো বিষদ ভাবে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশীজনরা তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে অভিভাবক সমাবেশেকে আরো গুরুত্ব দেয়া, সন্তানদের স্কুল সময়ে পারিবারিক কাজে সংপৃক্ত না করা , মিড-ডে মিল চালু রাখা ও মিড ডেমিলে পুষ্টিকর খাবার সংযুক্ত করা, শিশুশ্রম বন্ধ করা, বাল্যবিবাহরোধ অভিভাবক সভা করা, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করা, শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা, যুগোপযোগী ও মানসম্মত কারিগরি শিক্ষায় বেশি নজর, গবেননা কার্যক্রম জোরদার করা, সরকারী ভাবে স্কুল গুলোতে, ড্রেস, কেডস, খেলার সামগ্রী ,পানির বোতল বরাদ্দ রাখার জন্য সুপারিশ করেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন কর্তৃক এলাকার গরিব ও মেধাবী ৫০ জন শিক্ষার্থীকে হিরো উমেন স্কলারশীপ প্রদান করেন। স্কলারশীপের ২য় কোয়াটারে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ১২০০/- টাকা এবং কলেজ ও বিশ্বিবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ১৫০০/- টাকা করে প্রদান করা হয়।
সভাটি সঞ্চালনা করেন আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি অনিল চন্দ্র শর্মা।