শহীদুল ইসলাম শহীদ, পঞ্চগড়।।ভোট চুরিতে জড়িত কর্মকর্তারা এখনো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে বহাল রয়েছে, এদের সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়- বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইকবাল হোসাইন।
তিনি বলেন, যে প্রশাসনের মাধ্যমে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন করেছে, প্রশাসনের সেই দুষ্ট কর্মকর্তারা এখনো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বহাল রয়ে গেছে। আমরা চাই সেইসব অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। কাজেই আমরা আগে এই দোষীদের বিচারের মাধ্যমে সংস্কার চাই, তারপর নির্বাচন।
শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট ঘটবর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে উপজেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বন্ধু সংগঠন গুলো থেকে জিকির করা হচ্ছে- সংস্কার চাইনা, নির্বাচন চাই। আমরা মনে করি, এতে কূ-মতলব আছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা যারা প্রশাসনে রয়েছে, তাদেরকে হয়তো তারাও ব্যবহার করতে চায়। এ জন্য তারা সংস্কার চাননা, তবে আমরা সংস্কার চাই।
ইকবাল হোসাইন বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যেভাবে হারানো স্বাধীনতা পূণরুদ্ধার করেছি; তদ্রুপ হারানো, অপহৃত ভোটাধিকারকে পূণরুদ্ধার করতে চাই আগামী নির্বাচনে। বিগত দিনে আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ছাড়া অন্যদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। আমরা সেই পরিবেশ করতে চাই, যেই পরিবেশে মানুষ হেসে খেলে, আনন্দের সাথে, নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে যেন নিরাপদে তার গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। এ জন্য নিজেদের মানোন্নয়নসহ প্রশিক্ষণের আওতায় আসতে হবে এবং ভোট কেন্দ্র পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা নেই, তারপরও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, জবরদখল বন্ধ হয়নি। কারা করছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে, আগামী নির্বাচনে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।
সদর উপজেলা জামায়াতের সভাপতি সফিউল আলমের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি আশরাফুল আলম, মানব সম্পদ বিভাগীয় সভাপতি শহীদ আল ইসলাম, জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য সাইয়েদ নূর-ই-আলম, যুব বিভাগের সভাপতি তোফায়েল প্রধান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আবুল বাশার বসুনিয়া, সদর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সুলতান মাহমুদ প্রমূখ।
জানা গেছে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে এই কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে সদর উপজেলা জামায়াত। এতে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের সহস্রাধিক ডেলিগেট অংশ নেয়।