পেয়ার আলী, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মশালডাঙ্গীতে ভারত সীমানার ২-৩ কি. মি. মাঝেই সরু ছোট ছোট রাস্তা। রাস্তার দুই পাশে ফসলি জমি শহরের আলো বাতাসের ছিটে ফোটা দেখতে পাওয়া যায় না। সেই গ্রাম্য পরিবেশে ছাত্র-ছাত্রীদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ১৯৯৭ সালে নিজ উদ্যোগে পৈতৃক জমিতে লক্ষীর হাট নুর আলা দারুল মাদ্রাসা ও মহতামিম ভরনিয়া মশালডাঙ্গী এতিম খানা ও লিল্লাহ বোডিং প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ১০ জন শিক্ষককে নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও ২০২৫ সালে তা ৩৫ শিক্ষককে উন্নতি হয়েছে। নিজস্ব পৈতৃক সম্পত্তিতে গড়া এই প্রতিষ্ঠান তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন সুপার আবু তালেব। সীমান্তবর্তী স্কুলটির নাম শুনলে যে কেউ অবহেলার খাতায় ফেলে রাখবে তবে সরেজমিনে দর্শন করলে আধুনিকতার ছোঁয়া খুঁজে পাবেন মাদ্রাসাটিতে। মাদ্রাসাটিতে গেলেই আপনার চোখে পড়বে মনজুড়ানো মসজিদ ও ওযুখানা। মেয়েদের জন্য থাকার আধুনিকমানের ঘর। ভিআইপি অফিসসহ মনে তাক লাগানো শিক্ষকদের থাকার ব্যবস্থা। শিক্ষার মান উন্নতমানের হওয়ায় সেখান থেকে অনেক ছাত্র ছাত্রী বাইরে লেখাপড়া করে সু-নামের সাথে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরী করছেন বলে জানা যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের জমিতে ফসল ফলানো আলু, সবজি, পুকুরে মাছসহ নিজ খরচে তা বহন করেন সুপার। মাদ্রাসার প্রয়োজনে পাশে থাকা জমিও দান করতে আগ্রহী তিনি। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর ২০২২ সালে এমপিওভুক্ত হয় মাদ্রাসাটি। বর্তমানে মাদ্রাসায় ২০০ উপরে ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছেন। মাদ্রাসার ভিতরে তিনি গরু, ছাগল, মুরগি, কবুতরসহ পালন করে থাকেন যা সৌন্দর্যে প্রস্ফুটিত হয়েছে। মাদ্রাসাটিকে আধুনিকমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার প্রত্যাশা সুপারের | সরকারের সু-নজর থাকলে মাদ্রাসাটিকে দর্শনীয় স্পটে রুপান্তর করার আশা সুপার আবু তালেবের। সরকারের বরাদ্দকৃত অনুদানগুলো চাহিদার তুলনায় স্বল্প বলে জানান তিনি।