ক্রাইম রিপোর্টার ঃনরসিংদীর পলাশ উপজেলার সান্তানপাড়া গ্রামে সংখ্যালঘুদের জমি আত্মসাৎ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছে একাধিক সংখ্যালঘু পরিবার। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইজি ফ্যাশনের তিন কর্ণধার—আসাদ চৌধুরী, ইছাদ চৌধুরী ও তৌহিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা পরিকল্পিতভাবে জমির জাল দলিল তৈরি করে চার বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে এবং এতে বাধা দেওয়ায় একাধিক সংখ্যালঘু পরিবারকে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
২০১৮ সালে ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন ( ডাগা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জালাল মেম্বার)স্বাক্ষর নকল করে নকল ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে এই জমি দখলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর চারটি জাল দলিল কমিশনের মাধ্যমে সৃজন করে জমি নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেয় আসামিরা। এ বিষয়ে জালাল উদ্দিন মামলা দায়ের করলে আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন জেল খাটলেও জামিনে বেরিয়ে এসে তাকে মামলা উঠিয়ে নিতে চাপ দেয় এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আসামিরা তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাব ব্যবহার করে প্রশাসনের মুখ বন্ধ করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসী ও মানবাধিকারকর্মীদের দাবি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সম্পত্তি রক্ষায় দ্রুত বিচার এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে ইজি ফ্যাশনের বিচার কেউ করতে পারেনি তারা ছিল আওয়ামী লীগের দোসর।
ইজি ফ্যাশনের নরসিংদী শোরুমে যোগাযোগ করা হলে, এক ম্যানেজার জানান, মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর থাকলেও তা কাউকে দেওয়া নিষেধ। সন্তান পাড়া তাদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি ।
বর্তমানে সান্তানপাড়া ও আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু পরিবারগুলোর মধ্যে। ৫ ই আগস্টের পর ভুক্তভোগীরা বিচারের দাবি উঠেছেন ইজি ফ্যাশনের মালিকদের বিরুদ্ধে ।
এই ঘটনায় প্রশাসনের নিরবতা ও বিচারহীনতার
প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।