হাজী জাহিদ।। নরসিংদীর পলাশে জমি সংক্রান্ত জেরে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে কাউছার মিয়া নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা গ্রামে আরজু ভূইয়ার বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে হামলাকারীরা ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। অভিযুক্ত কাউসার মিয়া মালিতা গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে ও পলাশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক।এ ঘটনায় রবিবার রাতেই ভুক্তভোগী বিউটি বেগম বাদী হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কাউছার মিয়াকে প্রধান আসামী করে এজাহারভুক্ত ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ২নং আসামী আব্দুল গণি মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
সরেজমিনে পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানায়, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাউসার মিয়ার সাথে মালিতা গ্রামের আরজু ভূইয়ার মেয়ে বিউটির জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। দুপুরে জমির বায়না বাবদ পাওনা টাকা চাইতে গেলে কাউছার মিয়া ২০ থেকে ২৫ জনের একটি বাহিনী নিয়ে বিউটি বেগমের বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা ৫টি রুমের টিভি, ফ্রিজ, আলমারি ভাঙচুর করে। পরে ঘরে থাকা নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ও ৬ ভড়ি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত বিউটি বেগম বলেন, গত দুই মাস পূর্বে তালতলী গ্রামের গণি মিয়ার কাছে সাড়ে তিন শতাংশ জমির কিনার বায়না করেন। পরে ওই জমি কাউছার মিয়া কিনার জন্য গণি মিয়াকে চাপ প্রয়োগ করে। এক পার্যায় বায়নার টাকাসহ অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সেই জমি নিজের করে নেয়। এদিকে বায়নার টাকা ফেরত চাইলে কাউছার মিয়া বিভিন্ন সময় হুমকি দিত। সকালে আবারো টাকা চাইতে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এই হামলা চালায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাউছার মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে পড়ে কথা বলবেন বলে জানান।
পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন জানান, হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ভুক্তভোগি পরিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে রাতেই গণি মিয়া নামে একজন সহ ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।।