আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি;কোরবানির ঈদ এলেই দেখা মেলে বাহারি নাম ও বিশাল আকৃতির গরুর। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। গরুটি শান্ত প্রকৃতির ও কালো রংয়ের হওয়ায় তার নাম রাখা হয়েছে ‘কালা বাবু’। ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ‘কালা বাবু’ গরুটি আসন্ন কোরবানির জন্য প্রস্তুত।
পুরো শরীরটাই কাল আর বিশাল দেহী হওয়ায় গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘কাল বাবু’। ওজন ২০ মণ হবে ধারণা গরুটির মালিকের। কালা বাবুকে একনজর দেখতে গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এলাকার মানুষ ধারণা করছেন, এটিই উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু।
গরুটির মালিক রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন। সরেজমিনে গেলে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জানান, সাড়ে বছর আগে গ্রামের একজনের কাছ থেকে ফ্রিজিয়াম জাতের কাল রঙের এ ষাঁড় বাছুরটি কিনেছিলাম। তার পর থেকে আমি গরুটির লালন পালন করি। খুব শান্ত স্বভাবের। শখ করে নাম রাখি ‘কালা বাবু’ । এর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাচা ঘাস, ভুসি, চালের কুড়া, ভুট্টা, অ্যাংকর, খৈল । তার পেছনে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ৭শ টাকা। পাইপ দিয়ে প্রতিদিন ২-৩ বার গোসল করাতে হয়। গরমে আরামের জন্য ফ্যান ও মশা তাড়াতে দৈনিক ৪টি করে কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে।
মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘খুব শখ করে সন্তানের মতো লালনপালন করছি। এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রি করে দেব।’ কেমন দাম চান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম ৬ লাখ টাকা । যে বা যারা কালা বাবুকে নেবেন তারা নিজেরাই দেখে মেপে দাম করে নিয়ে যাবেন।
তিনি আরও জানান উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট নেকমরদ বাজার বরিবারে তিনি গরুটিকে হাটে তুলবেন। সেখানে যে কেউ দেখে শুনে দাম করে নিতে পারবেন। অথবা গরুটি কিনতে ০১৭১৯-৩৪৬৬১৮ গরুর মালিকের এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুপম চন্দ্র মহন্ত বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলায় এখন পর্যন্ত জানা মতে মনেয়ার হোসেনের ‘কালা বাবু’ গরুটিই সবচেয়ে বড়। কোরবানির পশুর হাটে এটি আকর্ষণীয় হবে বলে আমরা মনে করছি।