শহীদুল ইসলাম শহীদ,পঞ্চগড়।।সময়ের আবর্তে হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মুখ নতুন করে আবার ফিরিয়ে পাওয়ার আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ১৩৭ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বোদা সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ১৯৬৮ সালের এসএসসি ব্যাচ শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা ও ঈদপুর্ণমিলনী সভা উদযাপিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১০ টায় আলোচনা সভা শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্যেদিয়ে মিলন মেলা ও ঈদপুর্ণমিলনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন১৯৬৮/ ব্যাচের এসএসসি পরিক্ষার্থী এবং অনুষ্ঠানের আহবায়ক কৃষিবিদ ড. শরিফুল ইসলাম হাসান শরীফ। ১৩৭ বছরের প্রাচীন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে একজনই ৮৮ বছরের প্রবীণ শিক্ষক সফিউল ইসলাম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন । এই অনুষ্ঠানে ১৯৬৮ ব্যাচের এসএসসি শিক্ষার্থীরা সকাল ১০ টায় এ মিলন মেলায় হাজির হন। দীর্ঘ কয়েক যুগ পরে একে অপরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হওয়ায় এই দিনটি এক অন্যরকম অনুভুতিতে পরিণত হয়।অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য রাখেন বলরামরাট স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন,সাবেক ব্যাংকার রফিকুল ইসলাম,বিশিষ্ট ঔষধ ব্যাবসায়ী নাজিমউদ্দীন,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক গোলাম মোর্শেদ,সাবেক স্কুল শিক্ষক রুহুল আমিন, সাবেক প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম,কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ ড, শরীফুল ইসলাম হাসান শরীফ প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষাগুরুকে সৌজন্যমুলক টুপি পায়জামা ও পাঞ্জাবি উপহার দেন। সেই সাথে মিলনমেলা /৬৮ ব্যাচ এসএসসি শিক্ষার্থীদের মাঝে শুভেচ্ছা স্মারক ও অভিনন্দন বার্তা তুলে দেওয়া হয়। সেই মূহুর্তে প্রবীণ বন্ধুদের কাছে পেয়ে আলিঙ্গণ ও কুলাকুলিতে আনন্দাশ্রু ও স্মৃতি কাতর হয়ে পড়েন সকলেই। শেষে প্রধান অতিথি বক্তব্যে দীর্ঘদিনের শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে বলেন,আমার ছাত্রদের দেয়া ভালাবাসার ঋন আমি কখনো শোধ করার মত নই। একজন শিক্ষকের প্রতি সম্মান, আচার- ব্যবহার ও শিষ্ঠাচার অধ্যাবসায় ও পাঠদানের নিয়মনীতিকে স্মরণ করে বলেন,সেই সময়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার আচরণ ও শিক্ষকদের প্রতি সম্মানবোধ ছিল অতি উত্তম চরিত্রের। আমি সকল শিক্ষার্থীর জন্য দোয়া করব -তোমরাও আমার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করবে। প্রধান অতিথির এসব আলোচনায় এক পর্যায়ে স্মৃতি কাতর ও নস্টালজিয়া পরিবেশের সৃষ্টি হয়।৬৮/ব্যাচের অনেকেই উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে দেশে ও বিদেশে চাকুরি করে অবসরে গেছেন কেউ অনেকে মৃত্যু বরণ করেছেন। অনুষ্ঠানে জীবিত ও মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। শেষে স্কুল চত্বরে আনন্দ র্যালী ও ফটোশেষন করে অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।#