ফজলার রহমান স্টাফ রিপোর্টার ঃরংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং কাবিলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে এক তরুনী প্রেমিক স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন। প্রেমিক স্বামীর পরিবার বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় ওই তরুণী বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রেমিকের বাড়ির গেট লাগানো অবস্থা বাড়ির ভিতর থেকে। ছেলের পরিবারের লোকজন বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় রুনা আক্তার (২৪) বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে।
অনশনকারী তরুণীর নাম রুনা আক্তার, তিনি পাশ্ববর্তী সাদুল্লাপুর থানার ৭ নং ইদিলপুর ইউনিয়নের চকনদী গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। অভিযুক্ত প্রেমিক স্বামী মোঃ নূরআলম মন্ডল নিসাদ(২৪)পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে।
রুনা আক্তার জানায়,দীর্ঘদিনধরে দুজনের মধ্যেও প্রেম, ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠার এক পর্যায়ে গত ১৫ /৮/২০২৪ ইং তারিখে নোটারী পাবলিক কার্যালয় ঢাকায় কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে তিনলক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়।
তিনি আরো বলেন, নূরআলম মন্ডল নিসাদ আশ্বাস দিয়েছিলো বাড়ির সকল অভিভাবককে ম্যানেজ করার পর ঘরে তুলবে আমাকে। এরপর থেকে আমরা দুজনে ঢাকাতে বাসা ভাড়া নিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করতে থাকি!বিবাহের পর বেশ কিছুদিন একসাথে থাকার একপর্যায়ে আমার স্বামী আমাকে না বলিয়া গোপনে বাড়িতে আসিয়া তার বাবা মার কথামতো অন্যথায় আর একটা বিয়ে করে। এরপর থেকে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ঘটনাটি বেশকিছুদিন পর আমি জানতে পাড়ায় আমার স্বামীকে অবগত করেলে এবং তার বাড়িতে তোলার বিষয়ে বললে তালবাহানা শুরু করে।
এ সময় স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্থানীয় সামাজিক রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন রুনা আক্তার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নিশাদের সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলবে না মর্মে তার বাবা মাকে জানায়।এমনকি ফোন নাম্বারটা দিতেও অস্বীকার করে।
এদিকে, অভিযুক্ত নিসাদের মা,বাবা জানান, আমার ছেলে কোথায় আছে কি করছে বলতে পারবো না। ওই মেয়েকে আমার ছেলে বিয়ে করেছে কি না সেটাও আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে অসহায় রুনার বাবা আশরাফুল ইসলাম স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, থানার অফিসার ইনচার্জের আইনি সহায়তা সহ স্থানীয় সকলের কাছে তার মেয়ের স্বীকৃতির জন্য স্থানীয় সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।