নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঘটনাটি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মনকান্দা গ্রামে সংগঠিত হয়েছে। জানা যায় মনকান্দা গ্রামের মুন্সীবারি বিএনপি-জামাত অধ্যুষিত হিসেবে পরিচিত।প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায় ঈদুল আযহার পরদিন (০৮-০৬-২০২৫) রবিবার সাবেক ছাত্রদল নেতা ওলি উল্লাহর ছোট ভাই রহমতউল্লাহর বৌ ভাতের অনুষ্ঠান আয়োজন চলছিল। ঐদিন আনুমানিক ১০:০০ ঘটিকায় আওমীলীগ কর্মী গ্রাম পুলিশ মোস্তফা র ছোট ছেলের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে একই গ্রামের পূর্বপাড়ার কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। মোস্তফার ছেলে বাড়িতে এসে ঘটনা বর্ণনা করার সময় আওমীসমর্থিত ইউপি সদস্য ওসমান এবং তার লোকজন মোস্তফা কে বিএনপি সমর্থিত মুন্সিবাড়িতে হামলা করতে উদ্বুদ্ধ করে। পরবর্তীতে মোস্তফা তার ভাই ছেলে সহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় মডেল বাজারের উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়। মুন্সীবাড়ির কাওকে দেখার সঙ্গে সঙ্গেই আক্রমণ করা হবে বলে তারা উচ্চস্বরে ঘোষণা দিতে থাকে। ঠিক তখন ই মুন্সিবাড়ির আক্কাছ আলীর ছেলে রুবেল(৩০) যিনি দীর্ঘদিন চট্রগ্রামে ব্যবসা র সাথে জড়িত থাকায় গ্রামে অবস্থান করে না ,তাকে রাস্তায় পেয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এক পর্যায়ে রুবেলকে আহত করে গন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমান যুবদলের অন্যতম সদস্য রফিকুল ইসলাম শামীম ও রুবেলের বাড়ি ভাংচুর করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসে মোস্তফা এবং যুবলীগের সক্রিয় সদস্য তার ছোট ভাই মন্জিল মিয়া। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন পরিস্থিতি শান্ত করে। পরবর্তীতে মস্তোফা তার দলবল নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা এবং আওমীলীগের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া আঞ্জু ভূইয়ার বাড়িতে আলোচনায় বসে। আলোচনা শেষ করেই পুনরায় রামদা,বলম সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিয়ে বাড়িতে আক্রমণ করে। সেসময় রামদা দিয়ে কুপানো হয় সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী আলী হোসাইন বাদল কে এবং তার বড় ভাই আনোয়ার হোসাইন কে চোখে আঘাত করা হয়।ইউনিয়ন জামায়াতের সদস্য হেলাল উদ্দীন কে এলোপাথাড়ি পিঠানো হয় নগদ অর্থ এবং গহনা লুটপাটের অভিযোগ করে আহতরা।
গ্রাম পুলিশ সদস্য মোস্তফা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি সাজিদুল হক সঞ্জুর সহচর হিসেবেই পরিচিত। আওমীলীগের সময়ে নিজের রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে নিজ ফুফু র ভূমি আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। গ্রামের বিভিন্ন জন কে গ্রাম পুলিশ পরিচয় দিয়ে হেনস্তা করা এবং মামলা করার ভয়ভীতি দেখানোর সত্যতা মিলেছে।
জানা যায় কিছুদিন পর ইউনিয়ন যুবদলের আসন্ন কাউন্সিলে রফিকুল ইসলাম শামীমের পদ পাওয়া ঠেকাতে উক্ত ঘটনায় মিথ্যা মামলা দায়েরে সহায়তা করেছে স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতা।