ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃগাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১নং খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ দুদু গং-রা অবৈধভাবে জমি দাবী করে দখলের চেষ্টা বাঁধা দিলে নারী শিশুদের মারধর। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন,ইউপি সদস্য এনামুল সালিশ বৈঠকে উপস্থিত হলে তাকেও লাঞ্চিত করা হয়। ভুক্তভোগীদের থানায় ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ।
রোববার (২১ জুন) দুপুরে উপজেলার খোদ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের গাছুর বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী রিপন মিয়া সাংবাদিকদের জানায়,আব্দুর রশিদ দুদু গংরা দাঙ্গাবাজ আইন অমান্যকারী, জনবলীয়ান, অন্যের জমি দখলকারী, অহেতুকভাবে ঝগড়া বিবাদে লিপ্তকারী বটে । তফসিল বর্নিত জমি (মৌজা- খোদ্দ কোমরপুর জে এল নং ৮২) আমি ক্রয় সুত্রে প্রাপ্ত হইয়া ভোগ করিয়া আসিতেছি এবং তফসিল বর্নিত জমিতে আমাদের বিল্ডিং বসতবাড়ি আছে আমাদের ক্রয়-কৃত জমির পাশেই সাবু গং জমি ক্রয় করিয়াছে। আমার জমির সংলগ্ন তাহার জমি হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পেশী শক্তির বলে আমার বসতবাড়ির ক্ষতি করার জন্য আমার বিল্ডিং ঘরের পাশে মাটি মাটি খনন করে গর্তের সৃষ্টি করে। এমন ঘটনায় আমিও আমার পরিবারসহ নিষেধ করতে গেলে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দুদু গং দলবদ্ধ হইয়া হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, কোদাল,দা সহ দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হইয়া বসত বাড়ির উঠানে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমিও আমার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে করে ঘটনাস্থলে আমি সহ আমার পরিবারের ১০-১১ জন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে আহতরা সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, আব্দুর রশিদ দুদু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানার অপকর্ম করে থাকে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রিপন মিয়ার স্ত্রী তাজনুরী বেগম (৪২) বাদী হয়ে, সোহান (২৬) আতিক (২০) সেতু ব(২০) দুদু (৫৫) ভোলা (৫৮) সাবু (৫২) ফারুক( ৪৫) পারভিন (৪৮) সহ ১৫ জন ব্যক্তিকে আসামি করে সাদুল্লাপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
তবে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও অজ্ঞাত কারণে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
উক্ত ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবার আইনি সহায়তা কামনা করেছেন।