1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ঠাকুরগাঁওয়ে পেনশন মেলা উপলক্ষে কর্মশালা পলাশবাড়ী এলজিইডি’র উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, তবুও বহাল তবিয়তে ঠাকুরগাঁও সরকারি মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে শর্তের বেড়াজালে স্থানীয় ঠিকাদার।। নিম্ন দরের প্যাঁচে সরবরাহ নিচ্ছে মানহীন পশুখাদ্য  একা  // তানিয়া সুলতানা সেটেলমেন্ট অফিসের নৈশ্য প্রহরী আফজাল হোসেনের হাতে অদৃশ্য আলাদিনের চেরাগ!! জাতীয় পার্টির ১০ তম কাউন্সিল সফল করার জন্য নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ————-সোলেমান আলম শেঠ ১৬ বছরেও উপজেলা হয়নি রুহিয়া: দীর্ঘ হচ্ছে এলাকাবাসীর অপেক্ষা ১৬ নং নারগুন ইউপি সদস্য °রিয়াজুল ইসলাম লিটনের°সন্ত্রাসনামা!! বালিয়াডাঙ্গী বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ২ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির উপর

ঠাকুরগাঁও সরকারি মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে শর্তের বেড়াজালে স্থানীয় ঠিকাদার।। নিম্ন দরের প্যাঁচে সরবরাহ নিচ্ছে মানহীন পশুখাদ্য 

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

শ্যামলী আকতার: ঠাকুরগাঁও সরকারি মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে স্থানীয় ঠিকাদারদের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে বাইরের রাজনৈতিক আশ্রয়ে লালিত পালিত যে ঠিকাদারের মাধ্যমে পশুখাদ্য সরবরাহ নেয়া হতো ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের এক বছর পরেও সেই একই নিয়মে নিম্ন দরের প্যাঁচে সরবরাহ নিচ্ছে মানহীন পশুখাদ্য। এসকল পশুখাদ্য মুরগীকে খাওয়ালে মুরগী কাঙ্খীত ফলাফল দিতে ব্যর্থ হবে বলে মনে করছেন খোদ মুরগী খামারের কর্মকর্তারা।বিগত ১৫ বছর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন দেশের বিভিন্ন হাঁস মুরগী খামারে পতিত সরকার পশুখাদ্য সরবরাহ টেন্ডারে একটি সিন্ডিকেট চালু করেছিল। সেই সরকারের পতনের পরেও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কুচক্রি মহলটি দোর্দ- প্রতাপের সাথে তাদের সেই সিন্ডিকেট ব্যবসা সমগ্র বাংলাদেশে চালিয়ে যাচ্ছে। ঠাকুরগাঁও সরকারি মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের টেন্ডারে কিছু অবাস্তব ও বিভ্রন্তিকর শর্তারোপ করা হয়। ইজিবি পদ্ধতিতে জমা দেয়া টেন্ডারে কৌশলগত কারণেই স্থানীয় ঠিকাদাররা বাদ পড়ে যায়। সিন্ডিকেটের সাথে সংযুক্ত প্রাণিসম্পদের কর্মকর্তারা অন্য ঠিকাদারদের বাতিল করতে মুলতঃ যে কৌশলটি নিয়ে থাকেন তা হলো সংযুক্ত নমুনা পছন্দ না করা আর নিম্নদর। নমুনা সংযুক্ত করার সময় বাজারের সেরা নমুনা জমা দিলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বিচারে সেটা অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। আর নিম্নদরের নামে যে দর দেখানো হচ্ছে তাতে আদৌ কোন মানসম্পন্ন পশুখাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব কি না তা কেউ খতিয়ে দেখছেনা। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও সরকারি মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের একটি টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে একটি গ্রুপের প্রাক্কলিত টাকার পরিমান ছিল ১৫ লক্ষ পঞ্চার হাজার। স্থানীয় ঠিকাদাররা এতে অংশগ্রহণ করলেও পূর্বের একই পদ্ধতিতে শর্তের বেড়াজালে তারা বাতিল হয়ে যায়। কাজটি পান মেসার্স প্রাইম এন্টারপ্রাইজ। তারা সর্বনিম্ন দর দেন ৯লক্ষ ৬হাজার টাকা।অর্থাৎ অন্য যেকোন ঠিকাদারকে বাতিল করার কৌশল হলো এটাই যে “ নিম্নদরের প্যাঁচ ও সংযুক্ত নমুনা পছন্দ না হওয়া”। স্থানীয় ঠিকাদাররা খামারের স্টোরে সরবরাহকৃত খাদ্য দেখতে গিয়ে অতি নিম্নমানের খাদ্য দেখতে পায়।উক্ত মালামালের গুনগত মান সম্পর্কে খোদ একজন খামার কর্মকর্তাই বলেন“ এসকল খাদ্য খাইয়ে মুরগীর কাঙ্খিত সাফল্য কখনই আসবেনা”। বিষয়টি নিয়ে স্থানী ঠিকাদাররা ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ‘ইজাহার আহমেদ’ কে চ্যালেঞ্জ করে প্রাণি সম্পদের প্রতিনিধি এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরবরাহকৃত খাদ্যের মান পরীক্ষা করতে চাইলে তিনি রাজি হননি। সিন্ডিকেট চক্রের অসাধু তৎপরতা নিম্নদরের মারপ্যাঁচ, কঠোর শর্তাবলী সংশোধন করে টেন্ডার প্রকৃয়া সচল রেখে ঠাকুরগাঁও সরকারি মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামারটিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সাধারণ মানুষ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং