ফজলার রহমান (গাইবান্ধা) থেকে ঃ–সেবা,স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা, শিষ্টাচার ও কর্মদক্ষতার কারনে সরকার মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য চালু করেছে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার।
প্রতিবছরই সরকার জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অধিভুক্ত কর্মকর্তাদের ভাল কাজের পুরস্কার স্বরুপ এই স্বীকৃতি প্রদান করে থাকেন।
মনোনীত এসব কর্মকর্তাদের হাতে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার তুলে দেন।
পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি হিসেবে আল -ইয়াসা রহমান তাপাদার ২০২৪ সালে পলাশবাড়ী উপজেলায় যোগদান করেন।
তিনি যোগদানের পর থেকে ভূমি খাতে সেবার মান উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।দুর্নীতি ও অনিয়মের আখরায় পরিনত ইউনিয়ন ভুমি অফিস গুলোতে এসেছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
কোন রকম ঝামেলা ছারাই খুবই স্বল্প সময়ে সরকার নিদ্ধারিত টাকায় জমি খারিজ ও খাজনা আদায় হচ্ছে ভূমি অফিস গুলোতে। যেকারণে মেধা, কর্মদক্ষতা এবং প্রশংসার কথা শুনা যাচ্ছে মানুষের মুখে মুখে।
শুধু তাই নয় একজন সৎ মানবিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ও তিনি সচেতন মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরীতে তার উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রয়েছে।
তার এমন প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ডে সম্প্রতি একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে নানাভাবে হ্যাঁয় প্রতিপন্ন সহ ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করলেও তিনি তাহা কর্ণপাত না করে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জনসচেতনতার পাশাপাশি কঠোর ভুমিকা পালন করেছেন।সরকারি সম্পদের সুষ্ঠু ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করণসহ সার্বিক পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করন অদ্যাবধি চলমান রয়েছে।
কখন ও পুলিশ কখন ও বা স্বসস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভা এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলে অত্যান্ত সাহসিকতার সাথে দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন এমনকি সম্প্রীতি সময়ে পৌরসভার পৌর মেয়র না থাকায় স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার সাথে পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন অদম্য এই কর্মকর্তা। বর্তমান সময়ে সময়ে বিভিন্ন ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা সরকার রাজস্ব আদায়ে অব্যাহত রয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসকের এমন কর্ম তৎপরতা দেখে এলাকার মানুষ খুবই খুশি। এই মানবিক কর্মকর্তার এমন নিরলস প্রচেষ্টাকে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন উপজেলাবাসী। এছাড়াও পৌর সভার সকল ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন অব্যাহত রেখেছেন।
পলাশবাড়ী উপজেলার সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সচেতন মহল মনে করেন এমন কর্মকর্তারাই কেবল জাতীয় শুদ্ধচার পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।
তারা আরো মনে করেন ভালকাজের স্বীকৃতি স্বরুপ জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় অবশ্যই এই কর্মকর্তার বিষয়টি বিবেচনায় আনবেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি জানান, আমার প্রধান লক্ষ্য জনগণের সেবা করা। পৌরসভায় কিংবা উপজেলার জনসাধারণ ভূমি সেবা সহ যেকোনো নাগরিক সেবার জন্য আমার এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে। সেবা নিতে আসা জনসাধারণের জন্য আমার সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।