প্রতিনিধি, পঞ্চগড়।। পঞ্চগড়ে সেনাসদস্যদের পাহাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শান্তিপূর্ন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে রাধামাধব মন্দীর (ইসকন) এর আয়োজনে দুই ঘন্টাব্যাপী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ শিশু অংশ নেন । আয়োজক কমিটি এবং রথযাত্রায় অংশ নেওয়া সনাতনীরা বলছেন সেনাবাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কারনে আমরা শান্তিপূর্ন নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমাদের জগন্নাথদেবের রথযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছি।

পঞ্চগড় সদর সেনাক্যাম্প সুত্রে জানা যায় দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সনাতনীদের রথযাত্রায় সদর সেনাক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদি পিয়াস জয়ের নেতৃত্বে বিশেষ নিরাপত্তা দিয়েছে পঞ্চগড় সদর সেনাক্যাম্প। যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং বিশৃংখলা ঠেকাতে রথযাত্রা চলাকালাীন সেনাসদস্যের টহল ছাড়াও গুরুত্বপূর্ন চানপাড়া মন্দির, জালাসি মোড়, চৌরঙ্গি মোড়, জেলা প্রশাসক  এবং পুলিশ সুপার কার্য্যালয় এলাকায় পয়েন্ট করে সেনা মোতায়েন করা হয়। পাঁচটি পয়েন্টে ৬০ জন সেনাসদস্যের সাথে টহল অব্যাহত রাখা হয়।

আয়েজক কমিটির প্রধান রাধামাধব মন্দিরের অধ্যক্ষ জানান প্রতিবছরের ন্যায় আমরা এবারও শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রার মাধ্যমে নয়দিনব্যাপী উৎসব শুরু করেছি। প্রায় পাঁচ হাজার সনাতন ধর্মের নারী পুরুষ শিশু রথযাত্রায় অংশ নিয়েছে। তিনি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এবারে সেনাবাহিনী আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা দিয়েছেন। সেনাসদস্যদের সহযোগীতায় আমরা সু শৃংখলভাবে রথযাত্রায় প্রায় তিন কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে পাড়ি দিয়েছি। আগামি নয়দিনের উৎসবে আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগীতা চাই।

রাধামাধব মন্দির কমিটির সভাপতি অবিনাশ চন্দ্র জানান এবারের রথযাত্রা পালনে আমরা পঞ্চগড় সেনাক্যাম্পের সহযোগীতা পেয়েছি। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাদের নিরাপত্তা দিয়েছে।

পঞ্চগড় সদর সেনাক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয় জানান সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি গুরুত্বপূর্ন উৎসব হচ্ছে রথযাত্রা উৎসব। এখানে হাজার হাজার নারী পুরুষ শিশুর সমাগম ঘটে। পঞ্চগড়ে যাতে প্রত্যেকটি ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলো শান্তিপূর্নভাবে পালন করতে পারে এজন্য সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলের রথযাত্রায় আমরা বিশেষ নিরাপত্তা দিয়েছি। আগামিতেও পঞ্চগড় সেনাসদর ক্যাম্প গুরুত্বপূর্ন ধর্মীয় উৎসবে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

ইনসান সাগরেদ

পঞ্চগড়, ২৮ জুন ২০২৫