ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার খড়িবড়ি গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর ধরে প্রেম করার পর বিয়েতে অনীহা প্রকাশের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণী বিউটি আক্তার (ছদ্মনাম) অভিযোগ করেছেন, একই গ্রামের সাগর হোসেনের ছেলে রহিম তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু বর্তমানে রহিম তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। তরুণী বিচারের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মাসুদ রানা, চায়ের দোকানদার মোজাহারুল (মুজা) এবং চামেশ্বরী এলাকার শহিদুল এর কাছে গেলে তারা ছেলের পক্ষ নিয়ে ১ লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন পরবর্তীতে মেয়ের পরিবারের কাছে ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মেয়েটি জানায় যায় , বিউটি আক্তার(ছদ্মনাম) ও রহিম উভয়ই খড়িবড়ি গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় এক বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং পেটে ৩ মাসের বাচ্চা আছে । এই সময়ের মধ্যে রহিম বিউটিকে একাধিকবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় বলে অভিযোগ। বিউটি (ছদ্মনাম) বিশ্বাস করতেন যে তাদের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত বিয়েতে গড়াবে।
তবে, সম্প্রতি রহিমের পরিবার থেকে বিয়েতে অনীহা প্রকাশ করা হয়। মেয়েটির অভিযোগ, রহিমও এখন তাকে বিয়ে করতে রাজি নয় এবং বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে। তিনি বলেন গত ১৫ দিন পূর্বে আমার পরিবার অন্যখানে বিয়ে দেয় কিন্তু আমার শ্বশুর বাড়িতে গিয়েও আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন রহিম, আমার স্বামী এখন আমাকে রাখবে না।এজন্যই সিদ্ধান্ত নিয়েছি রহিম কেন আমার এত সর্বনাশ করল আমি এখন রহিমকেই বিয়ে করব, আমি টাকা চাইনা। এই ঘটনায় মেয়েটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন এবং ন্যায়বিচার দাবি করছেন।
এ বিষয়ে রহিমের পিতা সাগর এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ছেলে ও মেয়ে কোথায় কি করে আমি জানি না।
এদিকে মাসুদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন গত রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাদাৎ এর কাছে মেয়েটি গিয়েছিল কোম সমাধান করতে পারেনি।আপনার উদ্যোগে টাকার বিনিময়ে রফাদফা করছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে যান।