স্টাফ রিপোর্টার:চিত্রনায়ক আবির চৌধুরী শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করে, মঞ্চে অভিনয় করে সিনেমায় পা রাখেন। ২০১০ সালে তার অভিনীত শাহাদাৎ হোসেন লিটন পরিচালিত ‘বাপ বড় না শ্বশুর বড়’ ও ২০১২ সালে আশরাফুর রহমান পরিচালিত ‘তুমি আসবে বলে’ সিনেমা দুটি মুক্তি পায়। সর্বশেষ তাকে মিজানুর রহমান মিজান পরিচালিত ‘রাগী’ সিনেমায় দেখা যায়। বর্তমানে তার অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় আছে জুলাই আন্দোলন নিয়ে চলচ্চিত্র ‘দ্য রিমান্ড’।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক আবির চৌধুরী ফেসবুকে লিখেন, সম্প্রতি দেশের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রনেতা থেকে উপদেষ্টার পদে অধিষ্ঠিত, যিনি কার্যত মন্ত্রী পর্যায়ের ক্ষমতা ও প্রভাবসম্পন্ন অবস্থানে রয়েছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বক্তব্যে তিনি মন্তব্য করেছেন ‘পিস্তল কেন, মিসাইল সঙ্গে থাকলেও কেউ নিরাপদ নয়’। এই ধরনের উক্তি জনমনে গভীর উদ্বেগ আশঙ্কা এবং অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে।
আমরা মনে করি, এ ধরনের বক্তব্য শুধুমাত্র দায়িত্বজ্ঞানহীন নয়, বরং এটি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নীতিমালার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান। জনসাধারণের জানমাল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাঁর দায়িত্ব এবং কর্তব্য, তাঁর মুখে এমন হুমকিসূচক উক্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অবশ্যই এই ধরনের বক্তব্য জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা নষ্ট করে সকল পর্যায়ে এবং দেশব্যাপী রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করে। একজন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে আমরা শালীনতা, সংযম ও সংবেদনশীল আচরণ সবসময় প্রত্যাশা করি যা এই বক্তব্যে সুস্পষ্ট ভাবে অনুপস্থিত।
আমরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাই, তারা যেন এ বিষয়ে দ্রুত ও স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেন এবং জাতিকে আশ্বস্ত করেন যে, এ ধরনের উসকানিমূলক ও ভীতিকর বক্তব্য বর্তমান সরকারের নীতির সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। নাগরিকের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও রাষ্ট্রে আস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করা সরকারের অন্যতম সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং এই মুহূর্তে তা পুনর্ব্যক্ত করাই সময়ের সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন।