সালাম মুর্শেদী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক নারী। পরিবারের অজান্তে বিয়ে করে স্ত্রীকে স্বীকৃতি না দিয়ে এখন গাঁ ঢাকা দিয়েছেন আলমগীর হোসেন নামের ওই স্বামী।
আলমগীর উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের চুচুলী সরকার পাড়া গ্রামের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী নুরল হকের ছেলে।
গত ৪ জুলাই বিউটি বেগম নামের ওই নববধূ আলমগীরের বাসায় আসার পূর্বেই লাপাত্তা হয় তার স্বামী। পরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতেই অনশনে বসেন বিউটি। তবে অভিযোগ রয়েছে আলমগীরকে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘ আড়াই বছর প্রেমের সম্পর্কের পরে চলতি বছরের ১৪ মার্চ উভয়ের পরিবারের অজান্তেই বিয়ে করেন আলমগীর ও বিউটি। বিয়ের পর আলমগীর তার স্ত্রীকে বলেন অন্তত এক বছর বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করা যাবেনা। আর এই এক বছরের মধ্যে আলমগীর তার পরিবারকে ম্যানেজ করতে চেয়েছিল। এরমধ্যে পার্শ্ববর্তী বোদা উপজেলায় একটি ভাড়া বাসায় দুজনে কিছুদিন থাকেন। তারপর বিভিন্ন ঝামেলার কারণে আলমগীর ঢাকায় চলে আসেন। পরে তার স্ত্রীকেও ঢাকায় নিয়ে আসেন।
এদিকে, পারিবারিক চাপের মুখে পরে আলমগীর তার বাসায় বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করেন৷ কিন্তু তার পরিবার এই বিয়ে অস্বীকার করেন৷ পরে আলমগীর বিউটিকে ঢাকায় রেখে গ্রামে চলে আসেন। এদিকে বিউটিও স্ত্রীর দাবিতে আলমগীরের বাসায় চলে আসে। কিন্তু বাসায় এসে দেখে তার স্বামী বাসায় নাই। তার আসার খবর পেয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
বিউটি বেগম জানায়, আলমগীরের সাথে আমার দীর্ঘ আড়াই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। চলতি বছরের ১৪ মার্চ সে আমাকে বিয়ে করে। তার বাড়িতে নিয়ে আসবে বলে বেশ কিছু দিন থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল। শেষমেশ আমাকে নিয়ে বোদা উপজেলায় একটি ভাড়া বাসায় বেশকিছু দিন ছিল। সেখান থেকে আমাকে ঢাকায় নিয়ে যায়৷ সর্বশেষ গত ৪/৫ দিন পূর্বে আমাকে ঢাকায় রেখে গ্রামে চলে আসে। আমি গতপরশু এসে দেখি সে বাসায় নাই। আমি আসার খবর পেয়ে তাকে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে তার পরিবার মেনে নিতে চায়না। আর আমার স্বামীও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যেতে পারেনা৷ কিন্তু আমাকে সে যদি স্ত্রীর মর্যাদা না দেয় তাহলে আমার বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই।
এবিষয়ে বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি অবগত হয়েছি। তবে শুনেছি ছেলে নাকি ওই মেয়েকে ডিভোর্স দিয়েছে। ডিভোর্সের বিষয়টি কতটুকু সত্য তা আমাদের জানা নাই, কারণ ছেলে বাসায় নাই তাই সত্যিটাও আমরা জানতে পারছিনা৷ আমি ইতোমধ্যে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে বিষয়টি দেখার কথা বলেছি। আর আলমগীরের পরিবারকেও বলা হয়েছে যেন ছেলেকে বের করে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা হয়৷