ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃ এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর সকাল থেকেই সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছিল উৎসবের আমেজ! প্রতিটি হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা বিজয় উল্লাসে মেতে উঠছে। পলাশবাড়ীর পৌরসভার হাই স্কুলগুলোতে ও বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মতই উল্লাস আর উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীবৃন্দ। এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ধাপ অতিবাহিত করার প্রতিযোগিতায় নতুন এক বিজয় অর্জন ! ফলাফলের শীর্ষে অবস্থান করার প্রতিযোগিতায় এক একজন শিক্ষার্থীর বিজয় যেন নতুন স্বপ্নের অঙ্গীকার। বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে এবং নিজের বুকে লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এসএসসি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেছিলেন লাবণ্য আক্তার। সকাল থেকেই ফলাফল প্রকাশের সুদূর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় । লাবণ্য আক্তারের বাবা সাদুল্লাপুর উপজেলাধীন ৭ নং ইদিলপুর ইউনিয়নের কুঞ্জমহিপুর হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক। বাবা মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে লাবণ্য ছিল বড়। ফলাফলের খবর প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় সবগুলো সাবজেক্টে ভালো করলেও কেবলমাত্র গণিতে ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণে ফেল করতে হয় লাবণ্যকে। আর এটাই যেন তার জীবনে কালো অধ্যায়ে পরিণত হয়। এমন পরাজয় মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় লাবণ্য। সাথে সাথে ঘোর অন্ধকার নেমে আসে লাবণ্যের পরিবারে। পরিবারের বড় মেয়ের অসময়ে জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়া মেনে নিতে পারছেনা বাবা -মা, পাড়া -প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসী।
ঘটনাটি ঘটেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ড নুরপুর গ্রামে।
নিহত শিক্ষার্থী লাবণ্য আক্তার নুরপুর গ্রামের আশরাফুল আলমের (শিক্ষক) মেয়ে এবং পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পলাশবাড়ী পিয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজ বাড়িতে স্বয়ং কক্ষে একটি রুমে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ সময় তার মা-বাবা বাড়ির আঙ্গিনাতেই বসেছিল বলে জানা যায়।
হঠাৎ আকস্মিক এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।