1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
রায়পুরার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের আতঙ্ক “এরশাদ মেম্বার” — একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত এই নামধারী বিএনপি নেতা ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াঙ্গীতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আমীনের উপর হামলার প্রধান দস্যুতার অপরাধে গ্রেফতার বিআরপি’র বহিস্কৃত নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ বিআরপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল শালবাহান তেলের খনি পুনরায় চালুর দাবিতে তেঁতুলিয়ায় মানববন্ধন পীরগঞ্জ বাসী কল্যাণ সমিতি ঢাকা এর হুইল চেয়ার বিতরণ বিলুপ্তির পথে হারিকেন প্যারোলে মুক্তি নিয়ে মায়ের জানাজায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খোকন জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-৪ খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে খাদ্য কর্মকর্তা লাপাত্তা

ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে ডি আই ডি প্রিজন এর তত্বাবধানে সরাসরি ব্যপক অনিয়ম দুর্নীতি। ঠিকাদারদের দাবি তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ববস্থা গ্রহণ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

 

শ্যামলী আকতার, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ অনিয়ম,দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার এক নিকৃষ্টতম উদাহারণ সৃষ্টি করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগার। গত ৫৩ বছর ধরে একটি রাজনৈতিক পরিবারের স্বামী স্ত্রীর নামে জেলা কারাগারের সবজি ও মশলা জাতীয় পণ্যের সরবরাহ কাজ দিয়ে নিজেরা যেমন একদিকে লাভবান হয়েছে তেমনি অপরদিকে বন্দীদের মানহীন খাদ্য খাইয়ে গেছে দিনের পর দিন।
• সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে এমন একটি অনিয়মের খবর জনসন্মুক্ষে প্রকাশ হয়েছে। জানা যায়, আব্দুল করিম নামের ঠাকুরগাও জেলা কারাগারের একজন তালিকাভূক্ত ১ম শ্রেণির ও এ এস সি ঠিকাদার গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ২য় মেয়াদে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে মালামাল সরবরাহ করে আসছিল। গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ – ২৬ অর্থবছরের প্রথম মেয়াদের দরপত্র গহণ করা হয়। এই দরপত্রে ১২টি গ্রুপের মধ্যে রেনু রাণী ঘোষ নামে একজন ঠিকাদার (যিনি নিজে এবং তার স্বামী গোপাল চন্দ্র ঘোষ গত ৫৩ বছর জেলা কারাগারে একচাটিয়া সবজি সরবরাহ কাজ করেন ) ৯টি গ্রুপে নিম্ন দরদাতা হন। আব্দুল করিম ৩টি গ্রুপে নিম্ন দরদাতা হন। এই ৩টি গ্রুপের মধ্যে ২টি গ্রুপ যার আই ডি নম্বর ১১২০১১৬ অপরটি ১১২০১৬৪ একটি তাজা সবজি অপরটি মশলা। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আব্দুল করিমের প্রাপ্ত ৩টি গ্রুপের মধ্যে এই ২টি গ্রুপ ডি আই জি তৌহিদুল ইসলাম, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও কারা সহকারী মাহাবুব এর যোগ সাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কারচুপি করে ২য় দরদাতা রেনু রাণী ঘোষকে সুপারিশ প্রদান করেন। অপরদিকে রেনু রাণী ঘোষ ৯টি গ্রুপে অস্বাভাবিক নিম্ন দরদাতা হলেও তার প্রাপ্ত কোন প্রুপ ২য় দরদাতাকে দেয়া হয়নি। অর্থাৎ তার অস্বাভাবিক নিম্ন দরকে মেনে নেয়া হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা করা কর্তৃপক্ষ দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারদের জানিয়েছিলেন দাখিলকৃত দর ৬৫% এর মধ্যে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রেও আব্দুল করিমের প্রদত্ত দর ৬৫% এর মধ্যেই ছিল অথচ বাংলাদেশের বিভিন্ন কারাগারে ৫৪% দরেও দরপত্র পাশ করা হয়েছে। এব্যাপারে ঠিকাদার আব্দুল করিম ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের তত্বাবধায়কের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কারা সহকারি মাহাবুব সাহেবকে দোষারোপ করে বলেন “ তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম কাগজপত্র আমার কাছে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে যান। তিনি কখন কীভাবে এটা সুপারিশ করিয়ে নিয়ে গেছেন তা আমার জানা নেই”। উল্লেখ্য এই রেণু রাণী ঘোষের সরবরাহকৃত মালামাল এতটাই নিম্ন মানের ছিল যে ঠাকুরগাঁও জেলার সবজি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে জেলার অপরাপর প্রতিষ্ঠানগুলো যেগুলো শাক সব্জি ও মাছ মাংস সরবরাহ নিয়ে থাকেন তারা সবাই অবগত আছেন। সেখানে একজন এ এস সি ঠিকাদার নিজ যোগ্যতায় কাজ পেলেও অনিয়তান্ত্রিকভাবে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বিশেষ তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের সকল অনিয়মের মূল হোতা হচ্ছেন ডি আই জি (প্রিজন)। কোন আইন কানুন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই তিনি বিভিন্ন টেন্ডারে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। ডি আই জি প্রিজনের দুর্নীতির আর একটি মাধ্যম হচ্ছে কারাগার ক্যান্টিন। কারাগারের যত চুরির মালামাল আছে তা কারাগারের চার দেয়ালের মাঝেই ক্যান্টিনে ব্যবহার করা হয় এবং ক্যান্টিনের লাভ ডি আই জি প্রিজনকে পৌঁছে দিতে হয়।
এব্যাপারে ঠিকাদার আব্দুল করিমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঠাকারগাঁও জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে যে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছে তার বড় প্রমাণ আমার সাথে হয়েছে। আমি অনিয়মের তথ্য প্রমাণ সহ কারা মহা পরিদর্শক বরাবরে আবেদন করেছি। অপরাপর ঠিকাদারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন একজন মহা কারা পরিদর্শকের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের কারাগারগুলোর অনিয়ম দুর্নীতি চোখে রাখা কখনই সম্ভব নয়। তাঁর দৃষ্টির আড়ালে ডি আই জি প্রিজনরা বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করেই যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে ডি আই জি প্রিজন পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার সেন্ডিকেট ভাঙ্গতে উক্ত পদে মেজিষ্ট্র্যাট অথবা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পদায়ন করার দাবি জানান তারা।
বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য যে রেণু রাণী ঘোষ পতিত আওয়ামী পরিবারের একজন সদস্য । রেণু রাণী ঘোষের ছেলে যুবলীগের একজন নেতা। ২৪ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এমন একটি পরিবারকে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ এখনও অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদান করে আসছে যা বিস্মিত করেছে সকল শ্রেণির সচেতন মানুষকে।
অবিলম্বে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে সংঘটিত নানা অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ঠিকাদার এবং সচেতন মহল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং