1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধানের সম্প্রসারণে নীতি নির্ধারণ ও প্রকল্প অংশীদারগণের মতামত সভা উত্তরবঙ্গের জমজমাট পশুর হাট যাদুরাণী বাজার ঠাকুরগাঁওয়ে ন্যায়কুঞ্জু ও তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন তারেক রহমানের নির্দেশনায় খানসামায় ছাত্রদলের মানবিক উদ্যোগ; এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে কলম বিতরণ, অভিভাবকদের পানি ও স্যালাইন সরবরাহ কষ্ট কাউকে দেখানো যায় না কষ্টের কথা বলা যায় // রেজাউল করিম (রাজা) পঞ্চগড়ে ১৬ জুলাই শহীদ দিবস পালিত জুলাই বিপ্লব ধারণ করার অঙ্গীকার পঞ্চগড় আটোয়ারীতে– জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে সশস্ত্র হামলা! রাণীশংকৈলে ছাত্রদলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত বাগমারায় জুলাই স্মরণে গ্রাফিতি প্রতিযোগিতা  খানসামায় পাটক্ষেতে ভুট্টা ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার: পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের আশঙ্কা পরিবারের

উত্তরবঙ্গের জমজমাট পশুর হাট যাদুরাণী বাজার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

মনসুরআহাম্মেদ।।ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার জাদুরানি বাজারে জমে উঠেছে পশুর হাট। হাটে দেখা যাচ্ছে বিপুল সংখ্যক গরু ও ছাগলের সমাগম। সকাল থেকেই চারদিক থেকে দলে দলে লোকজন আসছেন হাটে। কেউ গরু ছাগল কিনতে আসছেন কেউবা বিক্রি করতে। পুরো বাজারে এক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে মঙ্গলবার তিনটি যাদুরাণী বাজারের জন্য একটি উৎসবমুখর বাজার যা আশপাশ এলাকার মানুষের পুরো সপ্তাহে জুড়ে কিনা বেচার ধুম পড়ে। বিশেষ করে গরুর ডাক ছাগলের কিচিরমিচির মানুষের হাঁকডাক দরদাম সব মিলিয়ে জমজমাট দৃশ্য।বাজারে দেশীয় নানা জাতের গরু পাওয়া যাচ্ছে। কালো সাদা বাদামী ছোপ ছোপ রঙের গরু যেগুলো মঙ্গলবার সকাল থেকেই আসছে নসিমন, করিমন, ভটভটি, পায়ে হেঁটে বিভিন্ন গরুর ব্যাপারীরা আশপাশের জেলার উপজেলার গরু নিয়ে আসছেন। ছাগল নিয়ে আসছেন। এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি করতে আসছেন এই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জাদুরানী বাজারে।

এসব দেখে বোঝা যায় তারা গরুর হাটিতে ক্রেতারা জানাচ্ছেন অন্যান্য হাটের তুলনায় জাদুরানি বাজারে পশুর দাম তুলনামূলক কম এবং অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে। অনেকেই বলছেন তারা এখানে এসে ভালো গরু কম দামে পেয়েছেন। হাটে কথা হয় আবদুর রহমান নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন আমি এক লাখ টাকায় খুব ভালো একটা গরু কিনেছি যেটা অন্য হাটে গেলে এক লাখ বিশ হাজার চাইলেও অবাক হতাম না।একইভাবে ছাগল কিনে খুশি দুলাল মিয়া বলেন ছাগলের দাম অনেকটা আমার সাধ্যের মধ্যেই।

আমি এই হাটে আসতেই চাই কারণ এখানকার দামের মধ্যে বিশ্বাস আছে।প্রতিবছরই ঈদুল আযহা কে ঘিরে প্রশাসনের তৎপরতা থাকে চোখে পড়ার মতো। কিছু গরু হাটে আসার পথে দুর্বল হয়ে যায় তাদেরকে ইনজেকশন ও খাবার দিয়ে সুস্থ রাখা হচ্ছে।

এতে ক্রেতাদের মধ্যেও স্বস্তি কাজ করছে কারণ তারা নিশ্চিত হচ্ছেন তারা সুস্থ পশুই কিনছেন।বাজারের বিভিন্ন জায়গায় চা দোকান পান দোকান ভাজা পোড়ার অস্থায়ী দোকানও বসেছে। অনেকেই গরু দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে এক কাপ চায়ে মুখ ভিজাচ্ছেন।

কিছু দোকানে শিশুদের খেলনা মুখোশ বাঁশিও বিক্রি হচ্ছে। এক কথায় হাটটি এখন শুধুমাত্র কেনাবেচার জায়গা নয় বরং একটি উৎসবের মিলনমেলা।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা হাট ব্যবস্থাপনা তদারকি করছেন নিয়মিত। বিক্রেতাদের মুখেও হাসি। তারা বলছেন এই হাটে পশু বিক্রি করতে পেরে তারা ভালো দাম পাচ্ছেন এবং ক্রেতারাও দাম নিয়ে তেমন অভিযোগ করছেন না। এতে করে দুই পক্ষই খুশি।

অনেকেই বলছেন গত বছরের তুলনায় এবার পশুর সরবরাহ বেশি এবং বাজারের পরিবেশও অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত ও নিরাপদ।এই হাট এখন কেবল পশু কেনাবেচার কেন্দ্র নয় বরং একটি উৎসবের আবহে পরিণত হয়েছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই মুহূর্তের কেনাকাটা করতে ভিড় বেড়েছে বহুগুণ।অনেকেই বলছেন আজই কিনে ফেলছি কাল আর বাজারে ঠাঁই মিলবে নাএমন এক তাড়া আর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পুরো হাটজুড়ে। এ যেন শুধু গরু ছাগলের বেচাকেনা নয় বরং ঈদের আনন্দেরই আরেক রূপ।এই চিত্র দেখলেই বোঝা যায় জমজমাট পশুর হাট কেবল একটি লেনদেনের স্থান নয় এটি হয়ে উঠেছে মানুষের জীবনের অংশ। জাদুরানি বাজার এখন শুধু একটি হাট নয় বরং একটি উৎসবমঞ্চ যেখানে গরু ছাগলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানুষের আশা বিশ্বাস ও ভালোবাসার গল্প।

রাণীশংকৈল উপজেলার হাট ইজারাদার আবু তালেব জানান। আমরা যারা হার্ট ব্যবসা করি আমরা সব সময় একটা আশায় থাকি প্রতি হাটে আমাদের যে গরু আমদানি হয় এবং কেনাবেচা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তরের গরুর ব্যাপারীরা এই হাঁটে আসেন। আমি প্রায় ৩০ বছর ধরে এই হাটের ব্যবসার সাথে জড়িত। আগে ব্যবসা ছিল ব্যবসা ছিল। এখন আগের মতো হাট ব্যবসা নাই। যাদুরাণী হাটি আগে থেকেই জমজমাট ছিল এখনো জমজমাট রয়েছে। তবে হাতে কিছু সমস্যা রয়েছে যেই সমস্যাগুলো প্রশাসনের নজরদারিতে আসলে হাটি আরো জমজমাট লাগবে।

দূর দূরান্তের বিভিন্ন গরুর ব্যবসায়ীরা প্রতি হাটে এখানে আসেন।গরু ছাগলসহ অন্যান্য পণ্য তারা এখান থেকে ক্রয় করে নিয়ে যায় ব্যবসা করেন।

হাট ইজারাদার ওমর ফারুক বলেন, এর আগে এই হাটতে পূর্বে ইজারাদারগান এ বৃহত্তর হাটতে অনেক লস করেছেন।

গরু হাটে সর্বনিম্ন গরুর লেখায় হওয়ার কারণে এর আগে রোজাদারদের প্রচুর লস খেয়েছেন।

। এখন নতুন রেড হয়েছে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই গরুর হাটি হরিপুর উপজেলার ২ নং আমগাঁ ইউনিয়নের অবস্থিত।

যাদুরানি গরুর হাট একটি বড় গরুর হাট।

এই হাটটি এই উপজেলা সর্বোচ্চ বড় হাট ও ঠাকুরগাঁও জেলার একটি বড় হাট। এই হাটে বিভিন্ন জেলার মানুষ গরু ক্রয় করতে আসেন। যে-মনটাংগাইল, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাইবান্ধা, বগুড়া, সৈয়দপুর, নীলফামারী, বিরামপুর, দিনাজপুর, পার্বতীপুর, চুয়াডাঙ্গা রাজশাহী মাদারীপুর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের এবং বিভিন্ন জেলার গরুর ব্যাপারীরা এখানে গরু ক্রয় করতে আসেন। প্রতিহাটেই তারা ৩০০, হতে ৪০০ হতে -৫০০-হাজার পর্যন্ত গরু ক্রয় করে ট্রাকের মাধ্যমে নিয়ে যায়। প্রতি মঙ্গলবার বিশেষ করে ঈদুল আযহার সময় ও ঈদুল ফিতর এই সময়টা একটু বেশি কেনাবেচা হয় এবং জমজমাট লাগে।

হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিকাশ চন্দ্র বর্মন জানান, যাদুরানী হাট যে সমস্যা রয়েছে জলাবদ্ধতা অন্যান্য যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিরসন করা হবে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলা হয়েছে যাদুরাণী হাট যেহেতু ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন একটি হাট বিশেষ করে গরু হাটটিতে জলবদ্ধতা রয়েছে হরিপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে সমস্যা নিরসন করা হবে।

অন্যান্য যে সমস্যা রয়েছে সে সমস্যাগুলো দেখা হবে। এই হাঁটি এটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী হাট যেহেতু এখানে দূর দূরান্তের মানুষে হাটে আসেন।

এই হার্টের সর্বোচ্চ যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো সমাধান করা হবে ।ড্রেহন ব্যবস্থা সহ মাটি ভরাট কাদামাটি আশপাশের রাস্তাঘাট সহ সমস্যা সমস্যা গুলো রয়েছে সেগুলো সমাধান করা হবে।

হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ, মোহাম্মদ জাকারিয়া মন্ডল জানান, হরিপুর থানাধীন জাদুরানিয়া হাট একটি ঐতিহ্যবাহী হাট এই হাটে বিভিন্ন জেলার গরুর ব্যাপারীরএসে গরু ক্রয় করে নিয়ে যান এই হাট থেকে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সহযোগিতা করি আমাদের একটি টিম হরিপুর থানার পক্ষ থেকে এখানে আইনগত সেবা প্রদান করে থাকেন।

জাদুরানি হাটটি একটি ঐতিহ্যবাহী হাট এবং অনেক পুরাতন হাট। হরিপুর থানাধীন ২ নং আমগাঁ ইউনিয়নের পুরনো ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন যাদুরানী গরুর হাট হাটি প্রতি মঙ্গলবার জমজমাট লাগে। বিশেষ করে গরু ছাগল এবং অন্যান্য যা সামগ্রী আছে এ হাটে কিন্তু কেনাবেচা ভালোই হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং