গোলাম রাব্বানী,হরিপুর প্রতিনিধি:আধুনিক সভ্যতার মাঝে উন্নয়নের ছোয়ার দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের পুরোনো দিনের সব ঐতিহ্য সাংস্কৃতিক ও ব্যবহারিক নিত্যদিনের সব জিনিস পত্র, তার মধ্যে গৃহের এমনই একটি গ্রাম বাংলার চিরো চেনা আলো হারিকেন যা আজ বিলুপ্তির পথে এর ব্যবহার নেই বললেই চলে। তৎকালীন গ্রাম বাংলায় বাড়িঘর এমন কি দোকান পাট থেকে শুরু করে পড়ার টেবিলে টিম টিম করে জ্বলত হারিকেনের আলো। কিন্তু আধুনিকতার ছোয়ায় তা আজ বিলুপ্তির পথে। হারিকেন হচ্ছে জ্বালানি তেলের মাধ্যমে বদ্ধ কাচের পাত্রে আলো জ্বালাবার ব্যবস্থা। এর বাহিরের অংশে অর্ধবৃত্তাকার কাচের অংশ থাকে যাকে বাঙালিরা চিমনি বলে থাকে, এর ভিতরে থাকে তেল শুষে অগ্নি সংযোগের মাধ্যমে আলো জ্বালাবার জন্য কাপড়ের সলাকা। আর সম্পূর্ণ হারিকেন বহন করবার জন্য এর বহিরাংশে একটি লোহার ধরুনি থাকে, আলো কমানো বা বাড়ানোর জন্য নিম্ন বহিরাংশে থাকে একটি চাকতি / চাবি, যা কমালে বাড়ালে শলাকা ওঠা নামার সাথে আলোও কমে ও বাড়ে। গ্রামাঞ্চলে এর ব্যবহার সর্বাধিক। অনেক কাল আগে থেকে এর ব্যবহার শুরু হয়, সম্ভবত মোঘল আমলের আগে থেকে বাংলায় শুরু হয় হারিকেনের ব্যবহার। তবে এখনো পশ্চিমবঙ্গের বা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে রিক্সার নিচে আলোর উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই হারিকেন।ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের ধৌলা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ দবিরুল ইসলাম সাবেক খতিব, অত্র গ্রামের বড় মসজিদ। (৫৫)জানান, গেলো এক যুগ পূর্বে ও গ্রাম বাংলায় হারিকেনের কদর ছিল অনেক, কিন্তু আজ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চলতেই অতীত কেই আমরা ভুলে গেছি। বর্তমান প্রজন্ম হারিকেন কি,সে সম্পর্কে অবগত নয়। তাই ভবিষ্যৎ এবং বর্তমান প্রজন্মকে হারিকেনের ব্যবহার সম্পর্কে ও ইতিহাস সম্পর্কে জানা একান্ত জুরুরি।