ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃজমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করা একটি গুরুতর অভিযোগ। এই ধরনের হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা বেআইনি এবং এটি ভুক্তভোগীর জন্য মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির কারণ। সাধারণত, এই ধরনের মামলা দায়ের করা হয় প্রতিপক্ষকে হয়রানি করা, জমি দখল করা বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে।
এমনই ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর সভার ৮ নং ওয়ার্ডে রাইগ্রামে ।
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিরীহ আপন চাচাতো ভাইদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী পৌর সভার রাইগ্রামের দুলু মিয়া ছেলে মন্টু মিয়া(৩৮) গং এর সাথে তারই চাচাতো ভাই শফিকুল গং এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলিয়া আসছিল । এ ঘটনার জেরে ২৪ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে মন্টু মিয়া বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেইসাথে আবারও একাধিক মামলায় জড়াবে মর্মে তার চাচাতো ভাইদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দেয়া অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী এবং স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে স্থানীয়দের কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, বাদী মন্টু মিয়ার পিতা দুলু মিয়া গত ১৫ ই জুলাই বিকেলে পার্শ্ববর্তী জুনদহ বাজার এলাকায় আনছারের চায়ের দোকানে চা খাওয়ার শেষে আকস্মিকভাবে স্ট্রোক করে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় পার্শ্ববর্তী দোকানে কর্মরত চালিতাদহ গ্রামের আনিসুর রহমান নামের এক ব্যক্তি দুলু মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় ফার্মেসিতে নিয়ে গেলে ফার্মেসির দায়িত্বে থাকা এক ফার্মাসিস্ট ব্লাড প্রেসার চেক করার পর পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করার পরামর্শ প্রদান করেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর রংপুরে রেফার্ড করলে ২৩ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় ২৪ তারিখে দুলু মিয়ার লাশ পোস্টমর্টেম শেষে ২৫ জুলাই শুক্রবার বাদ জুম্মা তার নিজ গ্রামে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়। ।
এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত দুলুমিয়ার ছেলে মন্টু মিয়া প্রতিপক্ষ তার চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম, সায়দার মিয়া, শহিদুল ইসলাম, সোহেল মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনার নামে দুলু মিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে মার্ডার মামলা করবে বলে রীতিমতো ভয় ভীতি এবং হুমকি ধামকি
প্রদান করিয়া আসছে বলে জানা যায়।
এমতাবস্থায় শহিদুল গংরা মিথ্যেভাবে হয়রানি মূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে আইনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণের সহায়তা কামনা করেছেন সেই সাথে সঠিক তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং