1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ইজারাদারের পক্ষ থেকে এক বেলা খাবার ও গামছা উপহার পেয়ে আনন্দে ব্যবসায়ীরা রায়পুরা আতস আলী বাজারে জেলা পরিষদের সদস্য রাজিব আহমেদ জমি জবর দখলের চেষ্টা অভিযোগ আলী আসগর মোল্লা বিরুদ্ধে গাইবান্ধায় সুরবানী সংসদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন পঞ্চগড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসকে ধ্বংস করেছে কেয়ারটেকার সরকারকে যখন নিষিদ্ধ করা হয় পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান অর্থের অভাবে চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছে না সাংবাদিক মাসুদ ঘোড়াশালে ট্রাকের চাপায় যুবক নিহত, চালক আটক প্রত্যন্ত অঞ্চলে আবু তালেবের মানুষ গড়ার কারখানা  আর্থিক সাহায্য প্রদান করে, টুম্পাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে আকুল আবেদন পলাশবাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তাকে মন্ত্রীসভায় দেখতে চাই

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

শহীদুল ইসলাম শহীদ ।। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন মুক্তাকে মন্ত্রীসভায় দেখতে চাই। কেন দেখতে চাই সে বিষয়ে একটু আলোচনা সংক্ষেপে এ খেলায় তুলে ধরলাম। তাঁকে নিয়ে লিখতে হলে মহাকাব্য হবে। অনেক বাধা-বিপত্তি আর নিজ দলের একাংশের প্রকাশ্য বিরোধিতা, ষড়যন্ত্র জন সমর্থনকে যে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না; সেটা আবারও প্রমাণ করে দেখালেন নাঈমুজ্জামান ভূইঁয়া মুক্তা। দলের একনিষ্ঠ কর্মী হবার পাশাপাশি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের আস্থা অর্জন ও তাদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরী করে কীভাবে সফলতা অর্জন করা যায় সেটাই খুব সহজে করে দেখিয়েছেন নবাগত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূইঁয়া। পঞ্চগড়-১ আসন জুড়ে যিনি মুক্তা ভাই নামে খ্যাতির শীর্ষে ছিলেন, আছেন। নির্বাচনকালে ঠান্ডা মাথায় প্রচারণা কার্যক্রম চালিয়েছেন। জয়ের ব্যাপারে তাঁর নিজের ওপর আস্থা বিশ^াসও ছিল। ভোট গ্রহণ শেষে বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ফলাফল ঘোষণা শুরু হলে সন্ধায় ঘুম থেকে উঠেই দলীয় কার্যালয়ে এসে হাজির হন। এর আগেই দলীয় নেতাকর্মী আর সমর্থকরা দলীয় অফিসে এসে হাজির হন। দলীয় কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা নেতাকর্মী সমর্থকদের পদচারনায় ভরে উঠে। শুরু হয় ফুলেল শুভেচ্ছা। রাতে আটোয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় তিনি নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমার পক্ষে যারা ভোট করেছেন আর যারা বিপক্ষে ভোট করেছেন সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে পায়ে ধরে যে কোন কাজ আদায় করতে পারবো-ইনশাআল্লাহ। আমার বিশ^াস দীর্ঘদিন প্রদানমন্ত্রীর সাথে থেকে কাজ করেছেন। নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাযন হিসেবেই জানি। গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা গিয়ে দেখা করছেন তিনি। এ সময় জেলা উপজেলার দলীয় নেতারা সাথে ছিলেন।
নির্বাচন পুর্ব সময়েই বলেছি, পঞ্চগড়-১ আসনে মুক্তার বিকল্প একমাত্র মুক্তাই। দলের একাংশের প্রকাশ্য বিরোধিতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী ময়দানে পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বয়কট তার বিজয় ঠেকাতে পারেনি। তার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা দেখাতে স্থানীয়রা ভোটাররা উৎসাহ, উদ্দিপনা নিয়ে গেছে ভোট কেন্দ্রে। সন্ধ্যার পর পরই ভোট কেন্দ্র গুলো থেকে একে একে আসা বিজয়ের খবরে তারা ছিল উল্লসিত, উৎফুল্ল।
মুক্তার এ বিজয় যেমন প্রত্যাশিত তেমনই এ বিজয় যেন গোটা পঞ্চগড়ের বিজয়ে পরিণত হয়েছে। কেননা, মুক্তা নির্বাচনী মাঠে সাধারণ মানুষকে শুধু নির্বাচনী কথাই বলেন নি; রীতিমতো স্মার্ট পঞ্চগড় গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের উপায় ও উন্নত জীবনমানে পৌছাতে আগামীদিনে তার করণীয় কী সেটি চমৎকার করে নির্বাচনী ইশতেহারে লিখিত দলিল আকারে মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন। আঞ্চলিক ইশতেহারে তার দূরদর্শী পরিকল্পনা ও সাধারণ মানুষ কীভাবে উপকৃত হবে তার বিশদ বক্তব্য তুলে ধরেছেন সেখানে। মুক্তার এমন সুদূর প্রসারী চিন্তার ফসল তার বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে আমার বিশ্বাস। জেলার সকল শ্রেণি- পেশার মানুষের সাথে দীর্ঘদিন আলোচনা করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেই তিনি আঞ্চলিক ইশতেহারটি করেছেন। পঞ্চগড়ের মানুষ তার কথা, সহযোগিতা, মানবতা ও বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তার পক্ষে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন।
আমি মুক্তার একজন বিশ্বস্ত শুভাকাঙ্খী হিসেবে অসংখ্যবার তার সাথে কথা বলেছি ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময়ও করেছি। তাছাড়া সেই ছোটবেলা থেকেই আমাদের মধ্যে বেশ জানাশোনা থাকায় তার প্রতি আমার দুর্বলতা বরাবরই ছিল, আছে, থাকবে। একই কারণে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের গোটা নির্বাচনকালীন সময় তার সভা-সমাবেশগুলোতে আমার দৃষ্টি ছিল। নির্বাচন পূর্ব অনুষ্ঠিত সেই সভা- সমাবেশ বা উঠোন বৈঠক গুলোতে দেখেছি জেলার সাধারণ মানুষের সাথে মুক্তার কেমন নিবিড় সম্পর্ক। কত সহজে তারা মিশছে উভয়ের সাথে। প্রত্যন্ত এলাকার একজন অতিসাধারণ মানুষের সাথে একজন রাজনীতিবিদের এমন সুসম্পর্ক ও তাদের হাস্যোজ্বল দৃশ্য আমার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে খুব একটা চোখে পড়েনি। এ কারণেই কথাটি বললাম যে, মুক্তা ও সাধারণ মানুষের যে দৃশ্য বা সম্পর্ক তাতে কোন কৃত্রিমতা আমি খুঁজে পাই নি। তাই তো মুক্তার বিজয়ে যেন বিজয়ের স্বাদ পেয়েছে গোটা জেলার মানুষ। অন্য রাজনৈতিক দলের অনুসারীরাও নিরবে নিভৃতে হেসেছে, হাততালি দিয়েছে।
জন সাধারণের ব্যাপক জনসমর্থনে মুক্তার চাহিদা পূরণ হয়েছে, এখন সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে তাকে আরও বেশি শ্রম, মেধা আর সময় দিতে হবে। পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও বিভিন্ন কেন্দ্রভিত্তিক কর্মী সমর্থকদের সহযোগিতা তার বিজয়েও যথেষ্ট গুরুত্ব রেখেছে। তবে সবার আগে যেটি প্রয়োজন, সেটি হলো তার গবেষণালব্ধ আঞ্চলিক ইশতেহার সমূহ বাস্তবায়ন করা এবং দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, সহযোগিতা ও এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। পঞ্চগড়ের উন্নয়নের মহাসড়কে চলার পথে অনেকেই ব্যক্তিস্বার্থ বা ব্যক্তি উন্নয়নে কেউ যেন সুযোগ না পায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন হবে। কেননা কিছু মানুষ জননেতার সাথে সম্পৃক্ততার সূত্র ধরে নিজের আখের গুছিয়ে নিতে বেশ তৎপর থাকে। যার নেতিবাচক পড়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে। একই কারণে অসংখ্য ভালো কাজ করে দুর্নামের অংশীদার হয় অনেকেই।
যাক, মুক্তা নিঃসন্দেহে এ ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন আছেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কেননা তার মতো জনদরদী, পরিচ্ছন্ন ও নির্লোভ রাজনৈতিক নেতার পাশে সবার সজাগ দৃষ্টি ও অংশগ্রহণ থাকবে। তবে মুক্তার আঞ্চলিক ইশতেহার বাস্তবায়ন ও পঞ্চগড়কে সারাদেশে মডেল জেলায় রূপান্তর করতে তার নতুন পদবী থেকে আরও উপরে পদায়ন করা দরকার। কেননা মুক্তার শিক্ষা, মেধা, দক্ষতা, সততা, আন্তর্জাতিক সংগঠনে কাজ করার অভিজ্ঞতা, সৃজনশীল মনোভাব, দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তাকে মন্ত্রী পরিষদে জায়গা করে দিলে দেশ উপকৃত হবে। যার সুফল পাবে গোটা দেশ। আমি প্রবীণ একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আগামী মন্ত্রীসভায় নাঈমুজ্জামান ভূইঁয়া মুক্তার মতো একজন পরিছন্ন রাজনৈতিক নেতাকে জায়গা করে দিলে এর সুদূর প্রসারী সুফল পাবে সারাদেশের মানুষ। কেননা যার মধ্যে সততা, সৃজনশীলতা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা থাকে তার দ্বারাই উৎকৃষ্ট উন্নয়ন সম্ভব। যে কারণে মুক্তাকে মন্ত্রী পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস মুক্তা শুধু তার নামেই নয়, সত্যিকারের মুক্তার পরিচয় দিতে সক্ষম হবে। লেখক: পঞ্চগড়ের একজন জ্যেষ্ঠ গণমাধ্যমকর্মী । #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং