ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি।। ঠাকুরগাঁওয়ে এম্বুলেন্স যোগে অপহরণের চেষ্টায় ৬ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশ। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের বান্দিগড় বালাপাড়া নামক এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সযোগে মোছা: সুমনা পারভীন (২৮) নামে এক নারীকে অপহরনের চেষ্টার ঘটনায় ৬ জনকে আটক করে থানা পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধায় উল্লেখিত ৬ জন আসামীকে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে তুলে দেয়। গতকাল শনিবার ভুক্তভোগী নারী ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত সোলেমান আলীর মেয়ে মোছা: সুমনা পারভীন পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ ভাউলাগঞ্জ রোডস্থ পল্লীবিদ্যুৎ শাখায় বিলিং সহকারী পদে কর্মরত। সেখানে ভাড়া বাসায় ৪ মাস ধরে বসবাসকালীন সময়ে অফিস যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী সোনাহার সরকার পাড়া গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে সৌমিক আহাম্মেদ (৩০) উত্যক্ত করে আসছিলেন। এমনকি বিয়ের প্রস্তাব দিত, প্রস্তাবে রাজি না হলে অপহরণের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি সুমনা পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি অবহিত করলে বাড়ির লোকজন তার বিয়ের জন্য পাত্রের সন্ধান শুরু করেন। সুমনা পরভীন শুক্রবার কর্মস্থল থেকে তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালাপাড়া বান্দিগড়ে আসেন। সুমানার বিয়ের কথা জানার পর ওই দিন সন্ধায় সৌমিক রায় ৬ জনকে নিয়ে একটি এ্যাম্বুলেন্সযোগে সুমনার বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক সুমনাকে অপহরনের চেষ্টা করে। এ সময় তার পরিবার ও আশপাশের লোকজন গিয়ে উল্লেখিত ৬ জনকে আটক করে থানায় খবর দেয়।
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার মো: রেজাউল করিমের ছেলে মো: রকি ইসলাম (২৫), ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রাম গোপাল (৩০), মৃত বিজয় কুমার রায়ের ছেলে ভরত কুমার রায় (২৯) হিরাম্ব চন্দ্র রায়ের ছেলে দিলীপ রায় (৩০) ও এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মো: আরমান হোসেন (২০)।
এ বিষয় ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ,বি,এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন অপহরণের চেষ্টায় ধৃত ৬ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১০/১২ জন অজ্ঞাত করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে, যার মামলা নং ০২ তারিখ ৩/০২/২৪ খ্রি। ধৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।