আরাফাত বিন হাসান।।চট্টগ্রাম নগরীর বাণিজ্যিক পাড়া খ্যাত আগ্রাবাদ আখতারুজ্জামান সেন্টার থেকে পূর্বদিকের সড়ক ধরে এগুতেই চোখে পড়বে ফুটপাতে সাজিয়ে রাখা কয়েকটা জুতার দোকান। এসব দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ডানপাশে তাকাতেই চোখে পড়বে গলির দুপাশে সাজিয়ে রাখা আরও কয়েক ডজন দোকান। হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া এখানকার প্রায় সব দোকানই ভাসমান।
স্থানীয়দের তথ্যানুযায়ী নগরীতে এটাই সবচেয়ে বড় ভাসমান জুতার বাজার। শহরের নানা নামিদামি ব্র্যান্ডের বাইরে অপেক্ষাকৃত কম দামে টেকসই জুতা মেলে এখানে। তাই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই বাজার। সাধারণ সময়ে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকলেও ঈদ ঘিরে বেড়েছে ভিড়। এখনও মাস দুয়েক বাকি থাকলেও ঈদের আগের ঝামেলা এড়াতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন ক্রেতারা। তাতেই জমজমাট ব্যাংকপাড়ার এই জুতার বাজার। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিন ব্যাংকপাড়া ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের জুতার পসরা সাজিয়ে বসেছেন ভাসমান বিক্রেতারা। তাদের ঘিরে দেখা গেছে নানা বয়সী ক্রেতার উপচে পড়ে ভিড়। পছন্দের জুতা নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর-কষাকষি করছেন তারা।
তাদের একজন রিজাউর। সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী রিজাউর জানান, ঈদের সময় ক্রেতাদের অতিরিক্ত ভিড় হয় এখানে। তাই আগেভাগেই পরিবারের সবার জন্য জুতা দেখছেন তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া রুদ্র কয়েকবছর ধরে এই বাজার থেকেই ব্যবহারের জুতা কিনছেন। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি তিন বছর ধরে এখানে একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। চাকরি শুরুর পর থেকে এখান থেকেই জুতা কিনি। কারণ এখানে বাছাই করে নিতে পারলে কম দামে ভালো জুতা পাওয়া যায়। এ সময় ভাসমান এই জুতার বাজারে কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় পূর্বকোণ প্রতিনিধির। তারা জানান, প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকে এসব দোকান। এখানকার প্রধান ক্রেতা শিক্ষার্থী ও নি¤œ আয়ের মানুষ। অধিকাংশ জুতার দামও তিনশ’ থেকে হাজারের মধ্যে। তবে বেশি দামের জুতাও রাখেন কিছু কিছু বিক্রেতা।