বেশ কয়েক দিন ধরে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের সামনে চায়ের দোকানেও স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে। এই বিষয়ে চায়ের দোকানে গেলে কর্মচারী বলেন, আমি কিছু জানি না, দোকানের মালিক দোকানে নাই।
ওই চা ব্যবসায়ী জিয়াউল হকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, আমি বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করি। তাই আমার কিছু রোগীর জন্য আমি দোকানে স্যালাইন নিয়ে রাখে দিয়েছিলাম। তিনি চায়ের ব্যবসার পাশা পাশি ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চুক্তি ভিক্তিতে চাকরী করেন ।
পাশের চায়ের ব্যবসা করে আসা আসমা বেগম বলেন, আমরা দেখতেছি অনেকদিন ধরে তিনি চায়ের দোকানে স্যালাইন বিক্রি করতেছেন। অনেক লোক এখানে স্যালাইন কিনতে আসেন। এছাড়া এই বিষয়ে আমরা তেমন কিছু জানি না।
হাসপাতালে চিকিৎসারত সাদেকুল ইসলাম বলেন, আমার বউকে নিয়ে হাসপাতালে আসার পরে ডাক্তার আমাকে নরমাল স্যালাইন আনতে বলেন। আমি স্যালাইন ক্রয় করতে গিয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টা দোকান ঘুরেও স্যালাইন পায় নাই। অবশেষে সেবা হাসপাতালের পাশে ঔষধের দোকানে পায় । তখন আমি ৮৭ টাকার স্যালাইন ২৫০ টাকা ক্রয় করি।
ডেঙ্গু ওয়াডে চিকিৎসা নিতে আসা, কালাম বলেন, আমার রোগী বাচানোর জন্য দাম বেশি হলেও কিনতে হচ্ছে। আমাদের কাছ খেকে ঔষধের ব্যবসায়ী ৯০ টাকার স্যালাইন ৩০০ টাকা নিচ্ছে। বেশি দামে নিলে নেন, আর না নিয়ে চলে যান। তখন আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।
কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ আজিজ বলেন, আমি শুনতেছি অনেক ঔষধ ব্যবসায়ী বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি করতেছে। ইতিমধ্যে কয়েক জন ব্যবসায়ী আমি শতর্ক করেছি। তারা যেনো বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি না করে। তারা পাশা পাশি আমরা বাজার মনিটরিং করতেছি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসাপাতালের সিভিল সার্জেন ডা: নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা রাতে শুনতে পারছি, হাসপাতালের সামনে চায়ের দোকানে স্যালাইন বিক্রি হয়। তাই সকালে গিয়ে সেই দোকানে অভিযান চালিয়েছি এই পর্যন্ত কোন স্যালাইন পাওয়া যায়নি। তবে তিনি চায়ের দোকানে স্যালাইন বিক্রি করতেন বলে আমরা এটা শুনেছি। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবে।