1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দূর হয়েছি ঘাড় নিচু করে  //   মোহাম্মদ মনজুর আলম অনিক জয়ের নূর মাখি  // সরদার ফাতিমা পীরগঞ্জে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধবদীতে আদালতের রায় তামিল করতে গেলে হামলা, ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের ওপর চড়াও ভূমিদস্যুরা – ২ জন আটক আটোয়ারীতে রাস্তার সিসি ঢালাইয়ে অনিয়ম, সাংবাদিককে হুমকি এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিলেন নীলা ইসরাফিল হরিপুরে শেয়ালের কামড়ে আহত-৭ পলাশবাড়ীতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে নারিকেল চারা বিতরণ ভাঙ্গাচোরা ঝুঁপড়িতে থাকা সেই বৃদ্ধাকে নতুন ঘর উপহার দিল জামায়াতে ইসলামী রায়পুরায় বন বিভাগের ২৬ শতাধিক গাছ কেটে অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ, সমঝোতার চেষ্টা চলছে

দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলোন, অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করুন,—–প্রাকবাজেট মতবিনিময় সভায় বক্তারা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

এম,সফিউল আজম চৌধুরী :-অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন,সারা বিশ্বে এখন মুক্তবাজার অর্থনীতি। ফলে দেশে একই ধরনের দেশি ও বিদেশি শিল্প থাকলে দেশি শিল্পকে বেশি সুবিধা দেওয়া যায় না।যদি বিশেষ সুবিধা দেয়া হয় তাহলে বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে আসবে না।বিনিয়োগের জন্য আহবান জানালে তারা বলবে এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না,তিনি আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রাকবাজেট মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।আইটি সেক্টরে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি,উন্নত দেশ গড়তে আইটি শিক্ষার কোন বিকল্প নাই,বলে মন্তব্য করে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলন,আইটি বিভাগে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, উন্নত মানুষ তৈরিতে প্রণোদনা দিচ্ছি।শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,ঢাকা চট্টগ্রামে প্রচুর হাসপাতাল হয়েছে।বাড়ছে মানুষের চাপ তাই শিক্ষা স্বাস্থ্য সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। ক্ষুদ্র ও মাঝারি থেকে ভারী শিল্পে মনোযোগ দিয়েছি। সাপোর্ট দিয়েছি। লোকাল রিসোর্স বাড়াতে চাই।কর নেটের আওতা বাড়াতে চাই। আরও বাড়ানোর সুযোগ আছে। আমরা মনে করি রাইট ট্রেকে আছি। যে কেউ ইটিআইএন নিতে পারছে। রিটার্ন জমা দেয়নি, মারা গেছে তারা নিবন্ধন বাতিল করেনি। তাই রিটার্ন দাখিলকারীর হিসাব মিলে না। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩৭ লাখ। জুনে ৪০ লাখ হবে আশাকরি। ২০২০ সালের জুন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন ছিল ২ লাখ। এখন তা পাঁচ লাখের কাছাকাছি। আমাদের গ্রাজুয়েশন চ্যালেঞ্জ আছে। লোকাল রিসোর্স মুভিলাইজেশন করতে হবে। আমাদের সহযোগিতা করুন। দেশাত্মবোধের জায়গায় নিজেকে তৈরি করতে হবে।  চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি ওমর হাজ্জাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্যকালে এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, বিশ্বের সাথে পাল্লা দিতে বাংলাদেশকে বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ঠিকে থাকতে হবে । আমি মনে করি আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা স্মার্ট,বুদ্ধিমান,। বিশ্বাস ও সততা থাকলে তারা ভালো করবেন। অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করে তিনি বলেন, দেশে আমরা অনেক কিছু উৎপাদন করতে পারি,কিন্তু তা না করে আমরা বিদেশ হতে আমদানি করে থাকি, এটা পরিহার করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।দেখা যায় দেশে প্রতিবছর আবাদি জমির ১ শতাংশ হারিয়ে যাচ্ছে।তিনি বলেন,দেশে খাদ্য উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে সার, বীজ, কীটনাশকে শূন্য শুল্কহার রেখেছি। কৃষি যন্ত্রপাতিতে শুল্কহার কম রাখা হয়েছে। মেশিনারি আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে এখন। এছাড়া আরো সুবিধা নিয়ে বড় বড় শিল্প, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের শিল্প গড়ে উঠবে আশা করে এনবিআর। বর্তমানে বিভিন্ন শুল্ক রেয়াদের কারনে দেশে মোবাইল ফোন, রেফ্রিজারেটর, এসি, মোটরসাইকেল তৈরি ও সংযোজন হচ্ছে। লিফট তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। আশাকরি চট্টগ্রামেও লিফট তৈরির কারখানা গড়ে তুলবেন কেউ।মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, দেশের জাতীয় বাজেট প্রণয়নে চট্টগ্রাম চেম্বার সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।বিধায় স্বাধীনতাপূর্ব সময় থেকে চট্টগ্রাম চেম্বার দেশের মিনি পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত ছিল।তিনি বলেন,বাজেটের পর আমরা ১৬৪টি প্রস্তাবনা দিয়েছি সরকারকে,তনমধ্যে আয়কর বিষয়ে ৪৬টি, ভ্যাট খাতে ২০টি ও শুল্ক বিষয়ে ৯৮টি। তিন বলেন, দেশের কল্যানের জন্য সরকারি বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করতে পারলে বিশ্বের দরবারে এই দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে তুলে ধরতে পারব। কর পদ্ধতিতে বড় রিফরমেশন প্রয়োজন হবে। দেশি শিল্পের প্রসারে ভূমিকা রাখতে হবে।  তিনি বলেন,বর্তমান অর্থনীতির অস্থিতিশীলে বেসরকারি খাতকে টিকে থাকতে সরকারি সাপোর্ট দরকার। এ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে। সাধারণ করদাতার করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করা, ভ্যাটহার এক অঙ্কে নামিয়ে সর্বোচ্চ ৮ ও সর্বনিম্ন ৪ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন তিনি।চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য কর ভ্যাট দিতে হবে। আমরা চাই কর ও ভ্যাট আদায় সহজীকরণ করা হোক। নন প্রফিট অর্গানাইজেশন, সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে কর অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানাই। ব্যবসায়ীরা খুব কষ্টে আছি এইচএস কোড নিয়ে, অনিচ্ছাকৃত ভুলে ২০০ শতাংশ কর দিতে হচ্ছে। এর ফলে ওই পণ্য ছাড় নিতে পারে না। বিদেশে টাকা পাঠাতে ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনলে অবৈধ চ্যানেলে টাকা যাবে না। রপ্তানির কনটেইনারের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে আরও স্ক্যানার মেশিন বসাতে হবে। অফডকে স্ক্যানার মেশিন বসানো উচিত। তিনি আয়কর সনদ অটোমেশন করায় ধন্যবাদ জানান সভায় জানানো হয়, আয়করে ব্যবসাবান্ধব পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বাংলায় সহজবোধ্য আয়কর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। করপোরেট করহার ক্রমান্বয়ে কমানো হয়েছে। মেড ইন বাংলাদেশকে প্রমোট করা হচ্ছে। বড় শহরগুলোর বাইরে হাসপাতাল স্থাপন করলে ১০ বছর করমুক্ত রাখা হয়েছে।  মতবিনিময় সভায় কাস্টমস, মূসক, আয়কর সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন আলোচনা করেন বিএসআরএমের এমডি আমীরআলী হোসাইন, টিকে গ্রুপের অ্যাডভাইজার মো. জাফর আলম, পিএইচপির পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিংকু, কনফিডেন্স সিমেন্টের এমডি জহির উদ্দিন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক একেএম আকতার হোসেন, মাহফুজুল হক শাহ, অঞ্জন শেখর দাশ, আকতার পারভেজ, রাকিবুর রহমান টুটুল, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমদ, ফেনী চেম্বারের পরিচালক বিলাস চন্দ্র, লুব রেফ বিডির এমডি মোহাম্মদ ইউসুফ, সিমেন্ট ম্যানুফেকচারার প্রতিনিধি আবদুল আউয়াল মোহন, ফ্রেশ ভেজিটেবল এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাহবুব রানা, মো. শাহজাহান, মো. বেলাল, কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ তাহের, পরিবহন মালিক সমিতির চৌধুরী জাফর আহমদ প্রমুখ।আমীরআলী হোসাইন বলেন, বিশ্বে সবুজ আন্দোলন হচ্ছে। তাই সৌর বিদ্যুতের যন্ত্রপাতি, স্ট্রাকচারে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া উচিত।জহির উদ্দিন বলেন, আমরা শিল্পের কাঁচামালের এলসি করতে পারছি না কিন্তু গ্রামের ফলের দোকানগুলো আমদানি করা ফলে চকচক করছে। অফিশিয়াল ডলার ১১০ টাকা, অ্যাকাউন্টিং করতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। ৪৩ ডলারে ক্লিংকার কিনে ৬০ ডলার হিসেবে শুল্ককর দিতে হচ্ছে।  একেএম আকতার হোসেন বলেন, শুল্কহার নির্ধারণে পণ্যের মিনিমাম ভ্যালু বাদ দিয়ে ফিক্সড ভ্যালু করে দিলে ভালো হবে। গত সপ্তাহে দুই দিন ইন্টারনেট স্পিড কম থাকায় কাস্টম হাউসে সমস্যা হয়েছে। কাজী মাহমুদ ইমাম বলেন, কাস্টম হাউসে জনবল সংকট রয়েছে। পরীক্ষাগারে পরীক্ষক নেই। ১৯৮৬ সাল থেকে বন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসা করছি। ৫০ গ্রামের খামের জন্য ৫ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারকে। বন্দরে ২০ হাজার টাকা জামানত দিলে ১৮ হাজার টাকা কেটে রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা চলে যাচ্ছে।সালেহ আহমদ বলেন, আমরা ক্ষুদ্র দোকানি। আমাদের অডিট থেকে মুক্ত করে দেন। প্রয়োজনে কর বাড়িয়ে দেন।  আকতার পারভেজ বলেন, সিকেডি কারখানার জন্য এনবিআরকে ধন্যবাদ জানাই। সেরা করদাতার পুরস্কার পেয়েছি এটা আমার জীবনে বড় পাওয়া।মাহবুব রানা বলেন, চিনির শুল্ক আরও কমালে ভালো হতো।এসময় উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য একেএম বদিউল আলম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং