1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দূর হয়েছি ঘাড় নিচু করে  //   মোহাম্মদ মনজুর আলম অনিক জয়ের নূর মাখি  // সরদার ফাতিমা পীরগঞ্জে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধবদীতে আদালতের রায় তামিল করতে গেলে হামলা, ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের ওপর চড়াও ভূমিদস্যুরা – ২ জন আটক আটোয়ারীতে রাস্তার সিসি ঢালাইয়ে অনিয়ম, সাংবাদিককে হুমকি এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিলেন নীলা ইসরাফিল হরিপুরে শেয়ালের কামড়ে আহত-৭ পলাশবাড়ীতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে নারিকেল চারা বিতরণ ভাঙ্গাচোরা ঝুঁপড়িতে থাকা সেই বৃদ্ধাকে নতুন ঘর উপহার দিল জামায়াতে ইসলামী রায়পুরায় বন বিভাগের ২৬ শতাধিক গাছ কেটে অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ, সমঝোতার চেষ্টা চলছে

জিয়াউল হক একুশের পদক পাওয়ার খবর পেলেন দই বিক্রী করার সময়

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

সানাউল হক সানী।। যখন সমাজসেবায় একুশে পদক পাওয়ার সংবাদ পান জিয়াউল হক, তখনও তিনি ফেরি করে দই বিক্রি করছিলেন। নিজের হাতে বানানো দই। এরপর গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে সেই দই বিক্রির টাকায় চলে সংসার।

শুধুই কি নিজের সংসার- একজন গরীব মানুষ চাপাইনবাবগঞ্জের হাজার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছিলেন পরম নির্ভরতার ঠিকানা। স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, অসহায় নারীদের কাছে আসন পেয়েছেন বাবার। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের কাছে একজন আদর্শ শিক্ষক। বই পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের কাছে আলোর মশাল।
অথচ একদিন সংসার চালানোর মত টাকাও উদ্বৃত্ত থাকে না তার। ৯০ বছর বয়সেও মাথায় দইয়ের ডালা নিয়ে ঘুরে বেড়ান গ্রামের পর গ্রাম। দু মুঠো খাবার জোগাতে বিশ্রাম নেই জীবনের।

বলিউড কিংবা তামিল ছবিতে এমন কাহিনীর উপর ভিত্তি করে অসংখ্য মুভি থাকলেও বাংলাদেশে রয়েছেন জলজ্যান্ত উদাহারণ।

মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পাশ জিয়াউল। দেড় টাকার জন্যে ক্লাস সিক্সে ভর্তি হতে পারেন নি। এরপর বাবার সঙ্গে নেমে যান দই তৈরিতে। শুরু করেন গ্রামে ঘুরে দই বিক্রি। কিন্তু মনের মধ্যে সুপ্ত ছিল একটা অমিমাংসিত অভিমান, নিজের উপর ক্ষোভ। টাকার জন্যে পড়াশোনা করতে না পারার আক্ষেপ।
সেই আক্ষেপ পরিণত করেন উদাহরণে। দই বিক্রির টাকা দেদার ঢালতে থাকেন ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের বই কিনতে। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের গরীব শিক্ষার্থীদেরও বই কিনে দেন জিয়াউল। বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়ান বাবার মতো ঢাল হয়ে। বাড়ি করে দেওয়ার পাশাপাশি ছোট কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। বিশুদ্ধ পানির জন্যে স্থাপন করেছেন অসংখ্য গভীর নলকূপ। ঈদ, পূজা-পার্বণে অসহায় পরিবারের জন্যে রাতের আধাঁরে নিয়ে যান নতুন পোশাক।
নিভৃত পাড়াগাঁয়ে ১৯৬৯ সালে নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার’। এ পাঠাগারে এখন বইয়ের সংখ্যা ১৪ হাজার।

জিয়াউল হকের জন্যে অতল শ্রদ্ধা। হাজার হাজার জিয়াউলের সম্মিলন ঘটুক বাংলাদেশে। সেইসঙ্গে অনেক ভুল মানুষকে পদক দেওয়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ একজন রত্ন খুঁজে বের করায়।
লেখক:
সানাউল হক সানী
সাবেক সাধারণ সম্পাদক,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং