স্টাফ রিপোর্টার
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (২০ আগস্ট) সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসফিকুল আলম হালিম অভিযান পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার রাধাঁনগর ইউনিয়নের প্রাধানপাড়া এলাকার হামিদুর ইসলামের বড় ছেলে নুর ইসলাম (৩৫) ও ছোট ছেলে জাহিদ হাসান (২৮)।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত, ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন আনুযায়ী মাদক ব্যবসায়ী নুর ইসলামকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মাদক ব্যবসায়ী জাহিদ হাসানকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানার টাকা প্রদান করেন দুই মাদক ব্যবসায়ী। এদিকে থানা পুলিশের মাধ্যেমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, আটোয়ারী উপজেলার রাধাঁনগর ইউনিয়নের প্রধানপাড়া এলাকার নুর ইসলাম ও তার ছোট ভাই জাহিদ হাসান দীর্ঘ দিন ধরে নিজ বাড়িতে মাদক বিক্রি ও সেবন করে আসছিলেন। এমনকি অনেকে তাদের বাড়িতে মাদক সেবন করে চলে যেতেন। খবর পেয়ে আটোয়ারী থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসফিকুল আলম হালিম। এসময় গাঁজা সেবনকালে দুইভাইকে ২ প্যাকেট গাঁজার পুরিয়া সহ হাতেনাকে আটক করা হয়। পরে তাদের বাড়িতে তল্লাসি করে বেশ কিছু ফেনসিডিলের খালি বোতল ও বিভিন্ন মাদক ব্যবহারের আলামত পাওয়া পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী বড় ভাই নুর ইসলামকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ছোট ভাই জাহিদ হাসানকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা সহ থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসফিকুল আলম হালিম বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে নুর ইসলাম ও তার ছোট ভাই জাহিদ তাদের বাড়িতে মাদক বিক্রি করে ও সেবন করেন। অনেকে আবার তাদের বাড়িতেই মাদক সেবন করে চলে যান। পরে অভিযান পরিচালনা করে এর সত্যতা পাই। পরে তাদের দুইজনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
এছাড়া দুই মাদক ব্যবসায়ীই ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের জরিমানার টাকা প্রদান করেন। সে কারণে তারা আর অনাদায়ের দণ্ডে দণ্ডিত হবেন না। আমরা জরিমানার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করেছি। আগামীতেও আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।