1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দিনাজপুর -৪ আসনের ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের হালচাল একটি কিডনি, একটি জীবন: ঠাকুরগাঁওয়ের জুয়েল বাঁচতে চান গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গণপিটুনিতে ধর্ষক নিহত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ রুহিয়ায় দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র নিউজ পোর্টাল উন্মোচনে অভিনন্দন ঠাকুরগাঁওয়ে ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামত করলেন বিএনপি নেতা মীর জাহিদ সেনাবাহিনীর বিশেষ নিরপত্তায় পাঁচ হাজার সনাতনীদের রথযাত্রা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতির নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন মাধবদীতেআদালতের নাজিরের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে সরকারি কাজে বাধা, আহত ৩; ককটেল বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক মির্জা ফখরুলের আশ্বাস।।  ঠাকুরগাঁও নাট্য সমিতি হলকে ভেঙ্গে আধুনিক কমপ্লেক্স হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ

খৎনা করাতে গিয়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।। শিশু আয়ানের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই এবার মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০)। স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আহনাফের আর জ্ঞান ফেরেনি।

মঙ্গলবার রাত ৮টায় আহনাফকে সুন্নাতে খৎনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নাতে খৎনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত আটটার দিকে খৎনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আহনাফের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয় আহনাফকে। যে কারণে তার জ্ঞান ফেরেনি।
আহনাফের বাবা ফখরুল আলম বলেন, আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়। তারপরও আমার ছেলের শরীরে সেটি পুশ করেন ডাক্তার মুক্তাদির। আমি বারবার তাদের পায়ে ধরেছি। আমার ছেলেকে যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমার সন্তানকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় মুক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবারই। আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।
এদিকে ঘটনার পরই ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উধাও হয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মুক্তাদির। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের জয়েন্ট ব্যথা, বাতব্যথা, প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নাতে খৎনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং