বালিয়াডাঙ্গী প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের কলন্দা কাজ্বীপাড়া গ্রামে আরফিনা আক্তার (২২) নামে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উঠেছে জাহাঙ্গীর আলম (৩২) নামে এক প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে।

ভূক্তভোগী গৃহবধূ আরফিনা উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের কলন্দা কাজ্বীপাড়া গ্রামের, গোলাম রব্বানীর স্ত্রী ও অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম একই গ্রামের মোঃ মকবুল হোসেনের ছেলে।

ওই গৃহবধূ জানান, জাহাঙ্গীর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল আমি বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে আমার স্বামী জাহাঙ্গীরের বাবাকে জানায়। এরই মধ্যে গত সোমবার (২১ আগষ্ট) বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে আমি আমার বাড়ীর আঙ্গিনা ঝাড়ু দিচ্ছিলাম। এসময় প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলম আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে, বাজারে যাওয়ার সময় বাড়িতে আমাকে একা পেয়ে আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে আমি রাজি না হলে জাহাঙ্গীর আমার হাত ধরে টেনে-হেছড়ে আমাকে আমার ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় আমার কোলে আমার ১ বছর বয়সী শিশু সন্তান থাকায় আমি তার সঙ্গে জোড়াজুড়ি করতে পারছিলাম না। এসময় তার হাত থেকে ছাড়া পেতে আমি তাকে অনেক অনুরোধ করি। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর আমার পড়নের কামিজ ছিঁড়ে ফেলে এবং সালোয়ার ছিঁড়ার চেষ্টা করে তখন কোন উপায় না পেয়ে কোলে থাকা বাচ্চাকে মাটিতে রেখে তাকে একটা থাপ্পর মারার চেষ্টা করি।

তখন জাহাঙ্গীর আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আমার কথায় রাজী না হলে তোর বাচ্চাকে মেরে তোকে নিয়ে যাব,তাতেও রাজি না হলে তোকে খুন করবো। তার এমন হুমকিতে আমি চিৎকার দেই, আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে জাহাঙ্গীর সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

গৃহবধূর স্বামী রব্বানী বলেন, ঘটনার সময় আমি বাজারে ছিলাম খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে আমার স্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানতে পারি। জাহাঙ্গীর এর আগেও আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমার স্ত্রী বিষয়টি আমাকে জানালে, আমি জাহাঙ্গীরের বাবাকে জানাই এতে জাহাঙ্গীর আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে এঘটনা ঘটায়। এবিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

গৃহবধূ আরফিনা আক্তার বলেন, আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, ঘটনাটি অস্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি সত্য নয়।

এবিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন- অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।