1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১১:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পলাশবাড়ীতে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পাশাপাশি সড়কে দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী পঞ্চগড়ে কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী, চলছে টহল ও নিরাপত্তা মহড়া কুত্রাপি তুমি সেই প্রণয়িনী //  মোঃ মনজুর আলম অনিক পঞ্চগড়ে নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভা শাকিব খানের ভালোবাসাকে পুজি করে প্রতারণার অভিযোগ ১৮৬ বোতল মাদক সহ ফুলছড়িতে দু’ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ পলাশবাড়ীতে একই বাশের তিরে স্বামী স্ত্রীর ফাঁসীতে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার পার্থ-সভাপতি : রোহান-সম্পাদক ঠাকুরগাঁও টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২৪ এর শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপলক্ষে নগদ অর্থ সহায়তা পঞ্চগড়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান

আসামী আটকের পর ঠাকুরগাঁও দুই থানার ওসির পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ভূল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার দাবি করছেন, তিনি আটক এক আসামিকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছেন। অথচ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান বলছেন, তারা এমন কোনো আসামি গ্রহণ করেননি। এ ঘটনায় পুলিশের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব পালন নিয়ে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে ভূল্লী থানার পুলিশ। ভূল্লী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সরকার শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানান, ওই দিন দুপুর ২টায় আটক ব্যক্তিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কিন্তু (২১ ফেব্রুয়ারি) আজ রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “ভূল্লী থানা আমাদের কাছে কোনো আসামি হস্তান্তর করেনি। আমরা এমন কাউকে আটকও করিনি।” ভুল্লী থানার ওসির কথা বলতেই তিনি জৈনিক আরিফ নামে এক ব্যক্তি দেখিয়ে দেন কথা বলার জন্য। আরিফ কে এমন প্রশ্ন করাতেই তিনি উগ্র আচরণ করে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।

এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—তাহলে আসামি গেল কোথায়?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম এর সঙ্গে রাতেই যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি। পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের রহস্যজনক নীরবতা।

গোপন সূত্রের দাবি, মোহাম্মদ আলীকে আসলে সদর থানায় নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও সদর থানায় এমন অভিযোগ উঠেছিল।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “অনেক দিন ধরেই শুনছি, টাকা দিলেই আসামি ছাড়া যায়। এর আগেও এমন এক ঘটনায় এক এএসআইকে বদলি করা হয়েছিল।”

বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরাসরি জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা বিচার পাচ্ছে না, অথচ অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

পুলিশের এমন ভূমিকা আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করছে। অনেকেরই প্রশ্ন, আইনের শাসন কি কেবল দুর্বলদের জন্য? প্রভাবশালী হলে কি পুলিশও অসহায় হয়ে পড়ে?

এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যথায়, পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং