ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি ও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দ নগর এলাকার উড়াওপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।আজ ১৮ই মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগী পরিবারে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
থানার অভিযোগে ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত বেশ কয়েক বছর ধরেই ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়া এলাকার বাসিন্দা সংকর মল্লিক এর সাথে উড়াও পাড়া এলাকার কালিয়ার ছেলে গোপালের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
এরই জের ধরে গোপাল ও তার লোকজন সংকর মল্লিককে প্রায় সময়ই হয়রানি করতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০-১২ দিন আগে সংকর মল্লিক ঐ জমিতে পূর্বের প্রতিষ্ঠা করা নিজ মন্দিরে পূজা দিতে গেলে গোপাল তাকে বাঁধা দেয়। এসময় সে মন্দিরে না ঢুকতে হুমকিও দেয় সংকর মল্লিক কে। এই ঘটনার পরে সংকর মল্লিক মন্দিরে তালা দিয়ে বাসায় ফিরে আসেন। গত ১৩ই মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মন্দিরে আশেপাশের মানুষের খবর পেয়ে মন্দিরস্থলে গিয়ে দেখে মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। সেখান থেকে মন্দিরের পূজার সামগ্রী, ফ্যান, টিভি, ঘরের গ্রীল, ২টি টিউব ওয়েলসহ অনেক জিনিস চুরি হয়। এতে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকার জিনিস চুরি হয়ে যায়।
এ ঘটনায় সেই দিন অর্থাৎ ১৩ই মার্চ বৃহস্পতিবার রাতেই সদর থানায় একটি চুরির অভিযোগ দায়ের করেন সংকর মল্লিক।
এ বিষয়ে সংকর মল্লিক জানান, গোপালের সাথে দীর্ঘদিন ধরে এই মন্দির ও এর পার্শ্ববর্তী জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সে এর আগেও এই জমিতে আসায় লোকজন নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করেছিলো। কয়েকদিন আগেও৷ সে আমাকে মন্দিরে ঢুকতে বাঁধা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় মন্দিরে চুরির ঘটনার সাথে গোপাল ও তাঁর লোকজন জড়িত থাকতে পারে বলে আমার ধারণা। আমি মন্দিরে চুরি ও আমাকে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হয়রানির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহীদুল ইসলাম শহীদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। বিষয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।