নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে কিন্তু শাসকের যেন পরিবর্তন নেই!স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের শাসনামলে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ১নং ভোমরাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে লবিং তদবির করতে দেখা যায় ওই ইউনিয়নের আবু বক্কর সিদ্দিককে । তার পিতা আলী আজম ওই ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার সুবাদে,কিছুদিন পর আকস্মিকভাবে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠনের নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার।
বর্তমান সে নিজেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির পীরগঞ্জ উপজেলা কমিটির আট নং সদস্য দাবী করা সহ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নামসর্বস্ব একটি অনলাইন পত্রিকার কার্ড করে উপজেলা ও জেলা শহরের বিভিন্ন হাট, বাজার, বালুর ঘাট, সরকারি দপ্তর ও ইট ভাটায় বহর নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের ছত্র ছায়ায় চাঁদাবাজি করে বেড়াত এই আবু বক্কর সরকার পতনের পর এবার খোলস পাল্টিয়ে এখন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তার চাঁদাবাজির ধান্দা করার রাস্তা পরিষ্কার করে নিতে ব্যস্ত হয়ে গেছে।
সদ্য চলতি মাসের গত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে দেখা যায় এই বহুদলীয়, সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি আবু বক্কর সিদ্দিক কে।বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ছবিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আঃ রশিদ ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরুজ্জামান সহ আরো দুই জন রয়েছেন।
বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগ কিংবা জাতীয় পার্টি নয় বরং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার পরিচয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং কি মিটিং মিছিলেও তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দলীয় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা অবস্থায় তাকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। গত বছরের ৫ই আগস্ট দেশের ক্ষমতার পটপরিবর্তন এর সাথে সাথে নিজ এলাকার লোকজনের কাছে মারধরের শিকার হন এই পাতি নেতা মার খাওয়ার পর পরেই
এখন তিনিও দল পরিবর্তন করেছেন। তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
পতিত আওয়ামী লীগের দোসরদের এভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে পুনর্বাসনের সুযোগ তৈরি করে দেয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ত্যাগী নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেইসাথে দলটির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
ভোমরদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাথে আবু বকর সিদ্দিক এর ভাইরাল হওয়া ছবি তে মন্তব্য করেছেন আবু বকর সিদ্দিক এক সময়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ছাত্রলীগের।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আঃ রশিদ এর সাথে কথা হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জানতাম না সে আওয়ামী এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্বেচ্ছাসেবক দল পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে স্মৃতিসৌধে হঠাৎ করে উঠে পড়ে। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ভুল হয়েছে।
আবু বকর সিদ্দিক তার ভাইরাল হওয়া ছবি তে মন্তব্য করেছেন ,আমি দৈনিক দেশ বুলেটিন পত্রিকায় জেলা প্রতিনিধি সাথে ভোরের বাংলা নিউজ পত্রিকাতে উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছে । পীরগঞ্জ প্রতিদিন পেজ থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে তিনি তীব্র নিন্দাও জানিয়েছেন। এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যেন উক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয় । সেই সাথে এক ঘণ্টার মধ্যে দলীয় জায়গায় নাম না দেখাতে পারলে বিক্ষোভ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
পীরগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক নেতারা বলেন এই ছেলে কিছু দিন আগে আওয়ামী লীগের ছাত্র রাজনীতি করত এবং সকল রাজনৈতিক
মিটিং মিছিলে অংশগ্রহণ করত। হঠাৎ করে জেলা শহরের এ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক কের কাছ থেকে প্রেস কার্ড নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে চাঁদাবাজি সহ নানা রকম অনিয়মের জড়িয়ে পড়লে তার কাছ থেকে সে সময় কার্ড নিয়ে নেওয়া হয়। এর পর স্থানীয় মূলধারার গণমাধ্যম কর্মীদের সখ্যতা গড়ে তাদের সংগঠন ও ব্যক্তি বর্গের নাম ভাঙ্গিয়ে চলতে শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিক নেতারা তাকে প্রেস ক্লাব অঙ্গনে আসার নিষেধ করে। পরবর্তিতে টাকার বিনিময়ে নামসর্বস্ব অখ্যাত অনলাইন পত্রিকার কার্ড নিয়ে জেলা সহ উপজেলা শহরে সাংবাদিক পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এটি সাংবাদিক মহলের জন্য একটি লজ্জা জনক ঘটনা রাতারাতি রাজনৈতিক নেতারা সাংবাদিক হয়ে যাচ্ছে নানা রকম অনিয়মের জড়িয়ে পড়ছে । এতে মূলধারার সাংবাদিকদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।