1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পাবনায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে নারী সমন্বয়কের মামলাঃ আসামী সাংবাদিক আদনান-প্রত্যাহারের দাবি সাংবাদিকদের মোঃ হাসানুজ্জামান চেয়ারম্যান চর আড়ালিয়া ইউনিয়নবাসীর আশীর্বাদ কুয়েতে_প্রবাসীর এক পলকে প্রেম সম্পূর্ণ কাল্পনিক শহীদ বাবার কাঁধে নয়, স্মৃতির ভারে ঈদ—গণতন্ত্রের শহীদদের পাশে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি পবিত্র ঈদুল আজহায় শহীদ ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে মিলনমেলা, চোখে জল, মনে ভালোবাসা—এক মানবিক বার্তা *পঞ্চগড়ে কোরবানির মাংস বিতরণ করলো আন্তর্জাতিক সেবামূলক সংস্থা হিউম্যানিটি ফার্স্ট* পঞ্চগড়ে নাশকতা হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী মোশারফ আটক পঞ্চগড়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশি  পলাশবাড়ীতে বাসের সাথে অটোরিকশার সংঘর্ষ নিহত -৩ গোবিন্দগঞ্জ সড়কে বাসচাপায় প্রান গেল চেইন মাস্টারের গোবিন্দগঞ্জে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী- স্ত্রী নিহত

মুক্তিপণ আদায়কালে গণপিটুনি, অপহরণকারী তিন পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৪, এক পুলিশ সহ পালাতক ৪.

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :মুক্তিপণ আদায়কালে গণপিটুনি, অপহরণকারী তিন পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৪, এক পুলিশ সহ পালাতক ৪, আজ শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ ইং

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় জুয়েল সরদার ও ফয়সাল সরদার নামে দুই কাপড় ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্যসহ আটজনের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই ব্যবসায়ীর পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করতে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন চার অপহরণকারীকে আটক করে। তবে বাকি চারজন পালিয়ে যায়। এ সময় গণপিটুনি দিয়ে চার অপহরণকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ডামুড্যা বাজার-সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গণপিটুনির এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পাহারায় বর্তমানে গ্রেপ্তার চার আসামিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা হলেন বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার গারফা এলাকার কৌশিক আহমেদ সেতু, ডামুড্যা উপজেলার বড় শিধুলকুড়া এলাকার কাউসার তালুকদার, মাগুরা জেলার বাসিন্দা রুবায়েত মীর ও কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার আমৌদা এলাকার শরীফ হোসেন। তাদের মধ্যে কৌশিক, কাউসার ও রুবায়েত মীর পুলিশ কনস্টেবল। তবে রুবায়েত মীরকে আগেই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কৌশিক খুলনা জেলা পুলিশ লাইনে এবং কাউসার চট্টগ্রামের একটি থানায় কর্মরত। তবে তারা বেশ কয়েকদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। অপহরণের ঘটনায় গতকাল ভুক্তভোগী ফয়সালের ভাই স্বাধীন সরদার ডামুড্যা থানায় অপহরণ মামলা করেছেন।

পুলিশ, ডামুড্যা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইকরকান্দি এলাকার জুয়েল সরদার ও ফয়সাল সরদার ডামুড্যা বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডামুড্যার দারুল আমান বাজার এলাকায় কয়েকজন লোক অস্ত্রের মুখে একটি মাইক্রোবাসে তাদের তুলে নিয়ে যায়। তারা ওই দুই ব্যবসায়ীর কাছে সারা দিনের বিক্রি করা টাকা চায়। কিন্তু কাছে টাকা না থাকায় তারা অপহরণকারীদের দিতে পারেননি। তখন অপহরণকারীরা তাদের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা চায়।

তবে ওই ব্যবসায়ীরা ১০ লাখ টাকা দিতে রাজি হন। এই সময়ের মধ্যে অপহরণকারীরা দুই ব্যবসায়ীকে নিয়ে মাদারীপুর শহরের লেকের পারে যায়। সেখানে গিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দুই ব্যবসায়ী মুক্তিপণ হিসেবে অপহরণকারীদের ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা দেন। বাকি ৬ লাখ ৯ হাজার টাকা আদায় করতে রাত ১টার দিকে অপহরণকারীরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে ডামুড্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যায়। সেখানে দুই ব্যবসায়ী গাড়ি থেকে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়।

স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহে গাড়ি ঘিরে ফেলেন। এ সময় অপহরণকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জনতা তাদের চারজনকে আটক করে পিটুনি দেয়। এরপর ডামুড্যা থানা পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাদের সঙ্গে জয় পোদ্দার নামে আরেক পুলিশ কনস্টেবল ছিল। সে পলাতক রয়েছে। তবে জয় কোথায় কর্মরত, তা জানা যায়নি।

অপহরণকারী দলের সদস্য রুবায়েত মীর গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, কাউসার তালুকদার আমাদের এখানে এনেছে। সে এই অভিযানে আমাদের নেতা ছিল। অপহরণের সময় যে টাকা পেয়েছিলাম, তা কাউসারের কাছে আছে। আমি আর কিছু জানি না।

উদ্ধারের পর ফয়সাল ও জুয়েল জানান, অপহরণকারীরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের হাতে হাতকড়া পরায় ও পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখায়। ১০ লাখ টাকা দিতে রাজি হওয়ার পরও অপহরণকারীরা তাদের রড দিয়ে পেটায়, কিল-ঘুসি মারে। পরে মাদারীপুর লেক পারে নিয়ে যায়। সেখানে আমরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা দিই।
ডামুড্যা থানার ওসি হাফিজুর রহমান মানিক জানান, গ্রেপ্তার চারজনকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, মুক্তিপণ আদায়ের সময় জনতার হাতে ধরা পড়া চারজনের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যেও একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। পালিয়ে যাওয়াদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তাদের ব্যাপারে সঠিক ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং