1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পঞ্চগড়ে সাবেক রেলমন্ত্রী, সাবেক দুই সংসদ সদস্য, সাবেক ডিসি, এসপিসহ ১৫৪ জনের নামে হত্যা মামলা।। অজ্ঞাত আরো ৮শ দেলওয়ার প্রধানকে পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে চান পঞ্চগড়ের শিক্ষিত সমাজ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের মানোন্নয়ন লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা ঠাকুরগাঁওয়ে “মির্জা রুহুল আমিন” স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সংবাদ সম্মেলন কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফেসবুকে নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার থানায় অভিযোগ প্রশংসায় সুবাহ’র ‘কালকে টুনির বিয়া’ ঠাকুরগাঁওয়ে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের কর্মবিরতি পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট : থানায় তিন সাংবাদিকের এজাহার আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিষ্ট দোসর অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নে বতিলের দাবীতে মানববন্ধন পঞ্চগড়ে মাশরুম চাষ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

দেলওয়ার প্রধানকে পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে চান পঞ্চগড়ের শিক্ষিত সমাজ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

শহীদুল ইসলাম শহীদ, পঞ্চগড়।।অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন প্রধানকে পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নকে কেন্দ্র করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই পদায়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। এ নিয়ে পঞ্চগড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কারো কারো প্রশ্ন কার প্ররোচনায় এটা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মন্তব্য করছেন নানা ভাবেই। এমন একটি মন্তব্য
পঞ্চগড়ের সকল দল মত নির্বেশেষে সকল সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজের অনুপ্রেরণা দাতা প্রফেসর মো. দেলওয়ার হোসেন প্রধান স্যার। গত ১০ বছর যারা পঞ্চগড়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছেন প্রত্যেকে জানবেন।
তিনি শিক্ষক হিসেবে আর্দশ শিক্ষক ছিলেন ।। তিনি যদি প্রভাব খাটাতেন তাহলে ঢাকায় বড় বড় পদ বাকিয়ে নিতে পারতেন, তিনি নিজ জন্মভূমিকে ভালোবেসে পঞ্চগড়ে – প্রভাষক হতে অধ্যাপক পর্যন্ত বিভিন্ন সময়, প্রভাষক, বিভাগীয় প্রধান, উপাধাক্ষ্য ও অধ্যক্ষের দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করেছেন – মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজে ।। ”
আর একজনের মন্তব্য”পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন প্রধান সম্পর্কে কিছু মহল যেভাবে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা একজন শিক্ষকের জন্য নয়—একজন পঞ্চগড়বাসীর জন্যও অপমানজনক ও বেদনাদায়ক।
এই মানুষটা আমাদেরই একজন। পঞ্চগড়ের মাটি তার শেকড়। তিনি এখানেই জন্মেছেন, বেড়ে উঠেছেন, এখানকার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন। শিক্ষা, শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধ—এই তিনটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজের শিক্ষকতাজীবন। এর আগেও তিনি মকবুলার রহমান সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এবং তখন থেকেই তিনি সকল শ্রেণির ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও সহকর্মীদের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। কারো সাথে উচ্চস্বরে কথা নয়, রাজনৈতিক বিভাজন নয়—ছিলেন শুধুই একজন শিক্ষকের ভূমিকায়। আজ যখন তিনি পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন, তখনই কিছু গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু ‘একটি দল’ বা ‘একটি মত’ দিয়ে তার স্বচ্ছ চরিত্রকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে। অথচ তার একমাত্র পরিচয়—তিনি একজন নীতিবান, সৎ এবং শিক্ষার্থীবান্ধব মানুষ।
যে মানুষটা জীবনের প্রতিটি ধাপে ন্যায়ের পথ বেছে নিয়েছেন, তিনি আজ অপবাদ শুনছেন শুধুমাত্র একটি কথিত ‘রাজনৈতিক রঙ’ লাগানোর চেষ্টা চলছে বলে? এটি শুধু দেলওয়ার হোসেন প্রধানের প্রতি নয়, এটি এই এলাকার প্রতিটি বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে আঘাত।
আমরা যারা দেলওয়ার স্যারের ছাত্র-ছাত্রী, সহকর্মী বা প্রতিবেশী—আমরা জানি, তিনি কেমন মানুষ। তাঁর মতো একজন বিনয়ী, মানবিক ও শিক্ষার প্রতি দায়বদ্ধ মানুষকে প্রশ্নবিদ্ধ করা মানে এই এলাকার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
দেলওয়ার হোসেন প্রধান স্যারকে নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য চোখে পড়ছে।
সমালোচনা গণতান্ত্রিক সমাজেরই অংশ, তবে তা যেন তথ্যভিত্তিক ও শালীন হয়—এটাই প্রত্যাশা। যাকে নিয়ে কথা, তিনি শুধু একজন অধ্যক্ষ নন, পঞ্চগড়ের শিক্ষাক্ষেত্রের একজন পথপ্রদর্শক।দল-মত নির্বিশেষে দীর্ঘদিন ধরে ধরে জেলার অসংখ্য সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডের পেছনে অনুপ্রেরণার নাম দেলওয়ার স্যার।
তিনি নিজের জন্মভূমিকে ভালোবেসে এখানকার কলেজে শিক্ষকতা করেছেন, বিভাগীয় প্রধান থেকে শুরু করে অধ্যক্ষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন সুনামের সঙ্গে। কেউ কেউ হয়তো তাঁর পদোন্নতিকে রাজনৈতিক রঙে দেখছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তিনি সব সময় শিক্ষকের ভূমিকায় থেকেছেন, কারো সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেননি। সেই মানুষটিকে এখন প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে, সেটি দুঃখজনক।
যারা তাঁর ছাত্র, সহকর্মী বা এলাকাবাসী ; তারাই মূল্যায়ন করুক, তিনি কেমন মানুষ। তাঁর সততা, বিনয়, এবং মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন আপনাদের বিবেচনায় ছেড়ে দিলাম।

ব্যক্তি দেলওয়ার স্যার নয়, দয়া করে মূল্যায়ন করুন – একজন শিক্ষকের নৈতিক আদর্শ ও উত্তরাধিকার।
সে মূল্যায়নে যেন ন্যায়ের ভিত্তি না হারায়, এটুকুই প্রত্যাশা।
অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন প্রধান বলেন, নিজ যোগ্যতায় দক্ষতায় উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ হয়েছি। কোন ব্যক্তি বা দলের আনুকূল্যে নয়। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। আগামীতে ব্যক্তি বা দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে নয় নিষ্ঠা ও সততার সাথে শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং