শহীদুল ইসলাম শহীদ,পঞ্চগড় ।।বেশি দরে বীজ আলু ক্রয় করে উৎপাদিত আলু কমদামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ আলু চাষীরা। এতে তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে বীজ আলুর দর পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন চাষীরা। সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের মানববন্ধনে ওই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষী আব্দুল মতিন, সাজ্জাদ হোসেন ও মাসুদ সরকার।
বক্তারা বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছর আমরা বিএডিসি থেকে ভিত্তি বীজ ক্রয় করেছিলাম ৪৮-৫৪ টাকা দরে। ওই সময় উৎপাদিত বীজ আলুর দাম পেয়েছি ৩৫-৩৭ টাকা কেজি। অথচ বাইরে আলুর দর ছিল ৭০-৮০ টাকা। কিন্তু আমরা বিএডিসির সাথে চুক্তিবদ্ধ বিধায় বাইরে কোনো আলু বিক্রি না করে বিএডিসির চাহিদামতো আমরা বীজ সরবরাহ করেছি। যার ফলে বিএডিসি ব্যাপক লাভবান হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিএডিসি ভিত্তি বীজের দাম নিয়েছে ৬০-৬২ টাকা দরে। এতে উচ্চমূল্যে বীজ সার, কীটনাশক ব্যবহার করে উৎপাদন খরচ বেড়ে অঞ্চল ভেদে দাঁড়িয়েছে ৩০-৩৫ টাকা। তাছাড়া বীজ আলুর উৎপাদনে বিশেষ যত্ন নিতে হয় এবং উৎপাদন একটু কম হয়। অথচ এবার দর নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬- ২৮ টাকা। গত বছরের থেকে প্রতি কেজিতে দুই টাকা বাড়িয়ে ৩৭-৩৯ টাকা দর নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। তা নাহলে আগামী বীজ আলু উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে চাষীরা। তাছাড়া ১০ একরের নীচে কোনো চাষ চুক্তিবদ্ধ হতে পারে না। বাধ্য হয়ে জমি লিজ নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়। এতে আরও উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।
পঞ্চগড় জোনে বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষীর সংখ্যা ৩০ জন। আলু চাষ করেছে তিন শ একরের বেশি জমিতে।