শহীদুল ইসলাম শহীদ, রংপুর।।”অস্তিত্ব সংকটে শ্যামাসুন্দরী খাল: আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের বর্তমান প্রেক্ষিত” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা বুধবার রংপুর সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এ সভার আয়োজন করে। সভায় বেলার রাজশাহী-রংপুর অঞ্চলের সমন্বয়কারী তন্ময় স্যানাল শ্যামাসুন্দরী খালের অতীত বর্তমান সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দখল দুষণে শ্যামাসুন্দরী খাল এখন সরু ড্রেনে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই শ্যামাসুন্দরী খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এই খাল রক্ষার দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত মহামান্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ১৩ জন বিবাদীর বিরুদ্ধে রুলনিশি জারি করেন এবং রংপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে খাল রক্ষায় তিন মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের
নির্দেশ দেন। এই নির্দেশনা জারির তিন মাস হতে চলছে কিন্তু নির্দেশনা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
বেলা’র আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ আল গালিব আদালতের রুল ও নির্দেশনা বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি ভবিষ্যতে এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সভায় এডাবের রংপুর অঞ্চলের সদস্য সচিব আহসান হাবীব রবু, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী জিন্নাহ চৌধুরী, এনজিও প্রতিনিধি ও পরিবেশ কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তী, সারোয়ার জামিল, কবি ও লেখক সুফি জাহিদ হোসেন, লেখক ফরহাদুজ্জামাল, এসএম পিয়াল, নারী নেত্রী লিপিকা ইয়াছমিন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রায়হানুল কবীরসহ অনেকেই মতামত প্রদান করেন ও করণীয় নির্ধারণের প্রস্তাব করেন।
সভাপতির বক্তব্যে রিভারাইন পিপলের নিবার্হী পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ শ্যামাসুন্দরী খালের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, শ্যামাসুন্দরী খাল রক্ষায় আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।
সভায় সুবিধাভোগী, এনজিও প্রতিনিধি, পরিবেশকর্মী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।