নিজস্ব প্রতিবেদক।।মোঃ আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও তাকে কোনো ধরনের স্বীকৃতি কিংবা মূল্যায়ন করা হয়নি। তিনি জানান, ছাত্রদল থেকে যুবদল হয়ে মূল দলে কাজ করেছেন এবং নিজ ওয়ার্ডের বিএনপি রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমার রাজনীতির হাতেখড়ি ছাত্রদল থেকে। ধাপে ধাপে যুবদল এবং পরে মূল দলেও সক্রিয়ভাবে কাজ করেছি। অথচ এখন যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের অনেকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কিংবা অবদান অতীতের তুলনায় কম।”
তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের মুক্তি চেয়ারম্যানের আমলে তিনি মেম্বার পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন এবং ইউ পি সদস্যরাও তার পক্ষে কাজ করেছিলেন। বহুবার লিখিতভাবে তার অবদান উপস্থাপন করলেও তাকে কখনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।
আনোয়ার দাবি করেন, “আমি রাজনৈতিক কারণে পালিয়ে থেকেছি তিন-চার মাস। ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ইতিহাস সাক্ষী আমার এই ত্যাগের।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান পরিষদের ১২ জন মেম্বারের মধ্যে আমিই একমাত্র সক্রিয় বিএনপির কর্মী। অথচ আমাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।”আনোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ পদে আছে। মুকতি চেয়ারম্যানের আমলেও মেম্বার ছিলেন। অনেকবার আওয়ামী লীগে যোগদান করার জন্য বহু চেষ্টা করেছিলো কিন্তু তিনি যোগদান করেননি বর্তমান যিনি প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব আছেন উনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
তিনি প্যানেল চেয়ারম্যানদের নাম উল্লেখ করে বলেন, প্রথম প্যানেল চেয়ারম্যান এক নুরনবী, দ্বিতীয় এস এম নুরনবী (বাবু চৌধুরী) এবং একজন নারী সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, “যদি কেউ বলেন আমি মিথ্যা বলছি, তবে প্রমাণসহ আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং অনুরোধ করেছেন যেন তার ত্যাগ ও অবদানের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়। জানা যায়,৫ নং বালিয়া ইউনিয়নের তিনি ৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউ পি সদস্য তিনি এমন কি তিনি মুক্তি চেয়ারম্যানের আমলেও মেম্বার ছিলেন।
বর্তমান চেয়াম্যান জুলফিকার আলী ভূট্রো চৌধুরীর কি এমন স্বার্থ যে আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতিকে প্যানেল চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব দিয়েছে?
এ জন্য তিনি জেলা বি এন পির সিনিয়র নেতৃত্বের কাছে বিশেষ অনুরোধ করে বলেন যেন তাকে প্যানেল চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।