ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকতার বিরুদ্ধে রংধনু বহুমুখী সমবায় সমিতির ৪টি মাইক্রোবাস সহ অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সমিতির টাকা দিয়েই ওসমান গণি ১৭ লাখ টাকা দিয়ে তার মেয়েকে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান। ১০ লাখ টাকা খরচ করে ধুমধামের সাথে আরেক মেয়েকে বিয়ে দেন এবং পৌর শহরের রঘুনাথপুর মৌজায় ১৫ শতক জমি নিজ নামে কিনে ৫ তলা ভবন নির্মাণ করছেন। সমিতির টাকা আত্মসাৎ করে সমিতিকে দেউলিয়া বানান। সেই সাথে সদস্যদের জমানো টাকা ফেরৎ না দিয়ে কৌশলে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করে দেন ওসমান গণি। সমিতির কার্যক্রম না থাকায় জেলা সমবায় কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালে সমিতির নিবন্ধন বাতিল করেন।
এদিকে সমিতির রেজিষ্ট্রেশন বাতিল হওয়ার পর ওসমান গণি নিজেকে রক্ষা করতে সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দীনের ওপর সমিতির দায়ভার চাপিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে লুটপাট চালায়। গিয়াস উদ্দীনকে নাজেহাল করতে তার বিরুদ্ধে আদালতে নানা ধরণের হয়রানিমূলক মামলা আনয়ন করে। মামলায় হেরে গিয়ে গিয়াস উদ্দীন কে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন ওসমান গণি ও তার লোকজন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গিয়াস উদ্দীন ও তার পরিবারের লোকজন।
অভিযোগ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার ওসমান গণি’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।