পঞ্চগড় প্রতিনিধি।। পঞ্চগড়ে আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে পুজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (০৭ অক্টোবর) পঞ্চগড় জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠত হয়। সভায় পুজা চলাকালীন সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান ও করনীয় বিষয় নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা হয়।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কান্তি দাস, পুলিশের ডিআইও-১, ওসি ডিবি, জেলার পাঁচ থানার অফিসার ইনচার্জ, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবধন বর্মন, সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায়, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কল্যাণ কুমার ঘোষ, ঐক্য পরিষদের নেতা ও সাংবাদিক হরিশ চন্দ্র রায়সহ জেলার সকল উপজেলার পুজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনায় পুলিশ সুপার বলেন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মণ্ডবে সর্বোচ্চ আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এজন্য প্রতিটি পূজামন্ডব পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হবে। আশা করছি উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দশমীর দিনেই প্রতিমা বিসর্জ্জন দিতে হবে, তবে এক্ষেত্রে কোথাও কোন রকম সমস্যা দেখা দিলে তা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সমাধান করে নেয়া হবে। যেসব পূজা মন্ডবের সামনে ট্রাফিক পুলিশের প্রয়োজন সেসব মন্ডবে পূজা চলাকালীন প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা হবে।
এছাড়াও মন্ডবগুলোতে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ভাবে বাহির ও প্রবেশ পথ রাখার জন্য এবং পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি মন্দির কমিটিকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান পুলিশ সুপার।
এ বছর পঞ্চগড় জেলার ৫টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় ৩০২টি পুজামণ্ডবে এবার শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে । পুলিশ সুত্র জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে ৩০২টি পুজা মণ্ডবকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তিনটি ধাপ হলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ, সাধারণ পূজামণ্ডব। তিন ভাগে এসব পুজা মণ্ডবকে মনিটরিং করবে পুলিশ। এছাড়াও র্যাবের স্টাইকিং ফোর্স, বিজিবির স্টাইকিং ফোর্স এবং গ্রাম পুলিশরা দায়িত্ব পালন করবেন। #