নিজস্ব প্রতিবেদক।। রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাধীন ৫নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এর কুকিমারা গ্রামে বৌদ্ধদের
ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ফানুস উড়ানোর সময় স্থানীয় বিজিবি কর্তৃক বাধা প্রদান করার অভিযোগ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তু গ্রুপের নিবন্ধন বিহীন নিউজ পোর্টাল Hill Voice
গতকাল রবিবার ২৯ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ রাত ৮:৩০ ঘটিকার সময় কুকিমারা গ্রামের বৌদ্ধদের উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ফানুস উত্তোলন করা হয়। যেহেতু ফানুস বাতি উড়ানো জনসাধারণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সেহেতু বিজিবি’র পক্ষ হইতে সর্তকতা অবলম্বন করে ফানুস উড়ানোর জন্য বলা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে এর আগেও ফানুস বাতির আগুনে অনেক ঘর-বাড়ি পুড়ে ছাই হয়। ফানুসের আগুন অত্যান্ত বিপদজনক। জনস্বার্থে বিজিবি যত্রযত্র ফানুস না উড়ানোর জন্য বলে। এবং সর্তকতা অবলম্বন করে ফানুস উড়াতে বলে। কিন্তু জেএসএস সন্তু গ্রুপের Hill Voice বিজিবি’র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
Hill Voice মিথ্যা তথ্য সন্ত্রাসের অংশ হিসেবে বলেন, “কাপ্তাইয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ফানুস উড়ানোতে বিজিবির বাধা প্রদান করে। কুকিমারা গ্রামের বৌদ্ধরা বিহারে ফানুস উত্তোলন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এই সময় হঠাৎ কোনো কথাবার্তা ছাড়াই রাত ৮.৩০ টার দিকে কুকিমারা বিজিবি ক্যাম্প হতে ক্যাম্প কমান্ডার রাজ্জাকের নেতৃত্বে ৪/৫ জন বিজিবি সদস্য এসে ফানুসগুলোর উপর লাঠি মারা শুরু করে। এতে এক পর্যায়ে গ্রামের অবস্থানরত যুবকরা এর প্রতিবাদ করতে এলে বিজিবির সদস্যদের সাথে তাদের বাক-বিতন্ডা হয়। বিজিবির সদস্যদের গ্রামবাসীর প্রতি এমন জঘন্য আচরণ করার কারণ জানতে চাওয়া হলে উত্তরে বিজিবি সদস্যরা তাদের বিজিবি ক্যাম্পে ফানুস বাতি পড়ার সম্ভাবনার অজুহাত দেখায়।”
স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি সূত্র মতে এধরণের কোনপ্রকার ঘটনাই ঘটেনি। জেএসএস সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা স্বার্থ হাসিলের জন্য বিজিবি কে বিতর্কিত করতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়েছে। ফানুস উড়ানোতে বাধা প্রদান করা হয়নি। যাতে ফানুস বাতির আগুন না লাগে এবং কোনপ্রকার ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য এলাকার দায়িত্বশীলদের সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। তা ছাড়া ফানুস উড়ানো প্রশাসনিক অনুমতির বিষয়। এরপরও তাদেরকে ফানুস উড়াতে নিষেধ করা হয়নি কিন্তু তারা মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
আরো জানা যায়,
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ইন্ধনে উগ্র মানুষ বিজিবি ক্যাম্পের দিকে আসছিল আশেপাশে বাঙালি-পাহাড়িদের ফোনেরও কাঠের তৈরি বাসস্থানের উপরে ফানুস বাতি গুলো পতিত হচ্ছিল। বিজেপি কর্তৃক তাদেরকে বারণ করা হচ্ছিল বারবার। কতিপয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হিল উইমেন ফেডারেশন ও পিসিপি ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে বিজিবির উপর চড়াও হয় এবং বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে।