ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়ায় স্বামী ও শাশুড়ীর নির্যাতনে এক গৃহবধূ বিষ পানে আত্মাহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা গড়েয়া ইউনিয়নের কিসমত তেওয়ারি গাঁও এর (মাঝগাঁও দাস পাড়ার) ষতিশ সরকার এর ছেলে অনিল সরকার (৩০) এর দুই বছর পূর্বে বিয়ে হয় ১৮ নং শুখান পুখরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামের জগদীশ চন্দ্রের এক মাত্র কন্যা রত্না রানীর।
তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে ১বছর বয়সের ছেলে সন্তান ও রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে অনিলের বাসায় আত্নীয় স্বজনরা আসে তাদের আপ্যায়ন করতে সমস্যা হলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে অনিল সরকার সকলের সামনে রত্না রানীর গালে দুইটি চর মারলে সে সকলের অজান্তে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পরে তার পরিবারের লোকজন বিষয় টি বুঝতে পারলে শুক্রবার ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে শনিবার ঠাকুরগাঁও থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করায়। সেখানে গত সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রত্না রানী মারা যায়।
মৃত রত্ন রানীর মা জানান, আমার মেয়ে জামাই ও তার মা ননীবালা আমার মেয়ের বিয়ে হবার পর থেকে যৌতুকের জন্য মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। আমরা গরীব মানুষ জমি যে টুকু ছিলো তা বন্ধকী রেখে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্নের গহনা দিয়েছি তার পরেও তারা আবার যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করে। তারা আমার মেয়েকে মেরে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। আমি আমার এক বছরে নাতির মুখ টা একটু দেখতে চেয়েছিলাম কিন্তু তার আমার নাতিকে একটু দেখতে দেয়নি পরে সাংবাদিকদের সহযোগিতায় আমি আমার নাতিকে দেখতে পেয়েছি।
আমি প্রশাসন ও এলাকা বাসীর কাছে আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
গড়েয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফিজার রহমান দুলাল রত্না রানীর মৃত্যুর ঘটনা টি ঠাকুরগাঁও সদর থানায় অবগত করলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অপারেশন ওসি সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন ও সুরতহাল করে এবং মৃত রত্না রানীর লাশটি কে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় । মৃত রত্না রানীর মা ও বাবা মেয়ে হত্যার বিচার প্রার্থী হয়ে একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
ঘটনার পর থেকে মৃত রত্না রানীর স্বামী অনিল সরকার আত্ম গোপনে রয়েছে বলে জানা যায়।