স্টাফ রিপোর্টার।। মাটি ও পানি জীবনের উৎস এ প্রতিপাদ্য নিয়ে মঙ্গলবার জেলায় বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে সকাল দশটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অকিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সীমা শারমিন। তিনি বলেন, ‘মাটি ও পানি আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে জড়িত। তাই দূষণের হাত থেকে মাটি ও পানিকে সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। তবেই কৃষি প্রধান এ দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, উন্নয়ন হবে টেকসই। বহু জায়গায় মাটির গুণমান হ্রাস হয়েছে যার ফলে মাটির ক্ষয়, উর্বরতা হ্রাস এবং জৈব পদার্থের ক্ষতি হয়েছে। তাই মাটির গুণগত মান বজায় রাখার তাৎপর্য এবং এই উপাদান আমাদের জীবন এবং খাদ্য ব্যবস্থায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতি বছর বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালন করা হয়।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায়, এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফজলুল করিম, বিএডিসির উপ পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, আঞ্চলিক চা বোর্ডের কর্মকর্তা আমির হোসেন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামাল হোসেন সরকার বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ‘মাটি প্রকৃতির একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর মাধ্যমে আমরা পুষ্টিকর শস্য ফলাতে পারি। শুধু তাই নয় বহু প্রাণীর আবাসস্থলও হল মাটি। তাই মাটির মান বজায় রাখা এবং মাটির গুণমান যাতে নষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। সাসটেইনেবল সয়েল ম্যানেজম্যান্ট প্র্যাকটিস, অল্প চাষাবাদ, ফসলের পরিবর্তন, জৈব পদার্থ সংযোজন এবং কভাক ক্রপিং মাটির স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং মাটির ক্ষয় হ্রাস করে এবং জলের অনুপ্রবেশ এবং সঞ্চয় বৃদ্ধি করতে পারে। এই প্রক্রিয়াগুলি মাটির জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে, উর্বরতা বাড়ায় এবং কার্বন সিকোয়েস্ট্রেশন ঠিক রাখে শুধু তাই নয় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই সব প্রক্রিয়া।’
এর আগে কালেক্টরেট ভবন চত্বর থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার সেখাসেন এসে শেষ হয়। #