নিজস্ব প্রতিবেদক।। শিক্ষকতা ছেড়ে মাত্র এক মাস আগে যশোরে বদলি হয়ে ব্র্যাক স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত হতে না হতেই আবারো বদলি কুকর্মের কারিগর আরিফুল ইসলামের। যিনি সম্প্রতি ল্যাংটা বাবা নামে পরিচিতি পেয়েছেন। এ নিয়ে সর্বত্র বইছে সমালোচনার ঝড়। এছাড়া সচেতন শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক আরিফুল ইসলামের ৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে মূহুর্তেই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ওয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটি একে অপরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রাক্তন শিক্ষক আরিফুল ইসলাম অজ্ঞাত এক যুবতীকে ভিডিও কলে রেখে উলঙ্গ হয়ে হস্তমৈথুন করছেন। ভিডিওটি ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে সৃষ্টি হয় সমালোচনা। পাশাপাশি শিক্ষক মহলে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, দায়িত্বশীল একজন শিক্ষকের এমন অসামাজিক কার্যকলাপ কাম্য নয়। তার আপত্তিকর এই ভিডিওটি ভাইরাল হলে শিক্ষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও সমালোচনা।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার নালবাড়ি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। আট ভাই-বোনের মাঝে আরিফ সবার ছোট। ২০২০ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন রংপুর জেলার এক যুবতীকে। আরও জানা যায়, কথা-বার্তায় নিরীহ ভাব দেখানো এই মানুষটির ভিতরে লুকিয়ে আছে তীব্র যৌন আকাঙ্ক্ষা। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। সুন্দরী মেয়ে দেখলেই দুর্বল হয়ে পড়েন এই শিক্ষক। বিয়ের আগে ও পরে একাধিক নারীর সাথে ছলনা করে প্রেম এবং শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়েছেন আরিফ। স্বয়ং তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগও কম নয়। তিনি প্রতিদিন তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আপত্তিকর মেসেজ দিতেন। কথায় আছে, তার এমন আচরণের জন্যই নাকি কিছুদিন পর পর প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যেতে হয় তার। তাকে আমাদের প্রতিনিধি তার মুঠোফোনে (০১৭১৯২৪৫৩৫৬) যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে ব্র্যাক স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ডিস্ট্রিক্ট ম্যানজার হিসেবে যশোর জেলায় কর্মরত আছি। ভাই আগে পাপ করলেও এখন আমি ভালো হয়ে গিয়েছি। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। আমার বউ গর্ভবতী। এখন যদি আপনারা আবার নিউজ করেন তাহলে আমার সংসার ভেঙে যাবে। ভাই দয়াকরে নিউজটি করবেন না।