শোনো বঁধূ, মেঘ নিয়ে কোনো কথা বলবো না আজ,
মেঘ-ই এসেছে কুশলাদি নিতে আমার নিকটে।
সব দুঃসংবাদ কাঁধে ঘনীভূত যেন ফেলবে বাজ,
মুক্তাকাশ পেতে এসেছি আমি এ-রেগেখ্যঙ তটে।
গিরিখাত ফুঁড়ে শান্ত আশীর্বাদ রুমা বগাবিল,
স্তব্ধ পাটাতনে কতকাল শুনি নি জলের শব্দ।
শূন্য থুরংয়েতে অহর্নিশ করে মূষিক কিলবিল,
এখানে আরম্ভ হয়েছে আরেক স্তব্ধতার অব্দ।
করো অনুগ্রহ, কোরো না গর্জন, যাও এখনই,
যা-ই বলো, বলবে ইশারায় যেন অন্যেরা না বোঝে।
আমি ঢুঁড়ে যাই শূন্য খনি থেকে বাঙময় ধ্বনি,
শূকর যেমন অনিঃশেষ ছোটে ট্রাফলের খোঁজে।
[রেগেখ্যঙ : বান্দরবানের রেগে নদী। শঙ্খনদীই মারমাভাষীদের রেগেখ্যঙ। থুরং : পিঠে বহনোপযোগী এক ধরনের ঝুড়ি।]