1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
প্রকাশ পেল প্রিয়া অনন্যা ও নিলয়ের ‘তুমি আমি রাজি’ রুহিয়া থানা প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত আনিস কে বিয়ে করতে দিলো না পুলিশ দীর্ঘ ১৬ বছর পর তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন।।  রঞ্জু সভাপতি শাহীন সম্পাদক নির্বাচিত ঘোড়ার ঘূর্ণি প্রশ্ন //  সাইফুল ইসলাম সরকার পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট : থানায় তিন সাংবাদিকের এজাহার ঠাকুরগাঁওয়ে জাকজমক আয়োজনে টি ২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধানের বিদায় ও সংবর্ধনা  জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের মানোন্নয়ন লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা ঠাকুরগাঁওয়ে “মির্জা রুহুল আমিন” স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে হলুদ সাংবাদিক

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

 

এম,সফিউল আজম চৌধুরী,(চট্টগ্রাম):-চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে হলুদ সাংবাদিক। এসব সাংবাদিকদের দাপটে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে প্রকৃত ইমেজধারী সংবাদকর্মীরা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী, সরকারী চাকুরীজীবি, মাদক ব্যাবসায়ী, শিক্ষক ও নানান শ্রেনীপেশার মানুষদের টার্গেট করে এরা চালাচ্ছে নীরব চাঁদাবাজি। কথিত ঐ সকল চাঁদাবাজরা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে বেছে নিয়েছে। নামধারী এসব হলুদ সাংবাদিকেরা কেউ কেউ ফেসবুকে একটি পেজ খুলে বিভিন্ন ব্যক্তিদের হয়রানীমূলক তথ্য লেখা উপহুাপন সম্বলিত পোষ্ট করে ব্লাকমেইলিং এর মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিষয়টি থেকে পরিত্রান পেতে ভূক্তভোগী জনসাধারন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কথিত ঐ সকল হলুদ সাংবাদিকেরা নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলে সংবাদপত্র কিংবা প্রেস লিখে ভূমি অফিসে মিউটেশন, থানায় দালালী সহ নানান অপকর্ম ও বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের যন্ত্রনায় চরম অতিষ্ট হয়ে পড়েছে উপজেলা প্রশাসন, দোকানদার, জমি ক্রেতা-বিত্রেতা, শিক্ষক সহ নানান শ্রেনীপেশার মানুষ। অনেকে হলুদ সাংবাদিদের ভয়ে আতংকিত হয়ে মূখ খুলতে নারাজ। বর্তমানে ঐ সকল হলুদ সংবাদিকেরা বিভিন্ন দালালী থেকে শুরু করে নামপত্তনজারী করে দেওয়া, মামলা এফআইআর, জিডি এন্ট্রি করে দেওয়া সহ নানান প্রলোভন দেখাচ্ছে নিরীহ ব্যক্তিদের। অনিয়মিত কিংবা কালেভদ্রে প্রকাশিত হওয়া এমন সব পত্র-পত্রিকার কার্ডধারী হলুদ সাংবাদিকেরা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে উৎকোচের বিনিময়ে নীরব চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও মিডিয়া কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। এতে করে প্রকৃত সংবাদ কর্মীরা অহরহ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় হলুদ সাংবাদিকদের আনাগোনা এতাটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, সাধারন মানুষ এদের ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে। এদের দ্বারস্থ না হতে পারলে উপজেলার কোনো মিউটেশন কেস্ ও নামজারী কেস্ করা সম্ভবপর হয় না। এদের সাথে যোগসূত্র রয়েছে ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীরা। পরগাছার মতো গজিয়ে উঠা ঐ সকল হলুদ সাংবাদিকদের কোনো একাডেমিক সার্টিফিকেট থাকা তো দূরের কথা সংবাদ তৈরী করা ও সভ্য সমাজে ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে কথা বলতে তারা পারে না। তবে দালালীতে বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলতে তারা বেশ অভ্যস্ত। এদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দিলেও তারা হাজির হয়ে সামনের সারিতে বসে পড়ে। এমনকি আয়োজকদের কাছে সংবাদের জন্য অর্থ দাবী করে।হলুদ সাংবাদিকের দৌরাত্য নিবৃত করতে উপজেলার ভূক্তভোগী জনসাধারন প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন । সুশীল সমাজের লোকজন জানান, হলুদ সাংবাদিক কখনই প্রকৃত সাংবাদিক হতে পারে না। এ ধরনের কাজ যারা করে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং