ষ্টাফ রিপোর্টার (চট্টগ্রাম):-আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার সাথে সাথে শরব হয়ে উঠেছে প্রেসপাড়া হিসেবে পরিচিত আন্দরকিল্লা । রাত- দিন চলছে প্রেসের মেশিন।ছাপানো হচ্ছে হাজার হাজার পোষ্টার।দিনরাত নির্বাচনের প্রচারণার অন্যতম প্রধান উপাদান পোস্টার ও লিফলেট ছাপতে হচ্ছে তাদের। সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে প্রেস কর্মচারীদের।স্বজনদের খবরাখবর নেয়ারও সময় নাই তাদের। অধিকাংশ দোকান বন্ধ থাকলেও বিরামহীনভাবে কাজ করছে প্রেসগুলো। আন্দরকিল্লা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্রেসপাড়ায় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে প্রেস মালিকরা জানান, কাগজ- কালির দামসহ অন্যান্য উপকরণের মাত্রাতিরিক্ত খরচ বেড়ে যাওয়াতে লাভও কমেছে ছাপাখানার ব্যবসায়।গত ১৮ তারিখে প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন প্রার্থীরা। প্রতীক পেয়েই তারা ছুটেছেন প্রেসে। কারণ প্রার্থীরা জোরেশোরে প্রচারণার জন্য সময় পাবেন দুই সপ্তাহের বেশি।এমন ও জানা গেছে প্রতীক না পেলেও দলীয় প্রার্থীদের কেউ কেউ অনেকটা আগে ভাগে পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ছাপানোর কাজ সেরেছেন। আর প্রতীক বরাদ্দের পর চাপ বেড়েছে প্রেসে।চট্টগ্রােমের প্রেসপাড়া খ্যাত আন্দরকিল্লা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে ছাপাখানাগুলোতে পোস্টার- লিফলেট ছাপানোর কাজ চলছে পুরোদমে। একই সঙ্গে চলছে প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টার ডিজাইনের কাজ। প্রেসের এক কর্মচারী জানান,দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি, জামাত নির্বাচনে অংশ না নেয়াই তেমন নির্বাচনী আমেজ নাই।এরা নির্বাচনে থাকলে আগেই পোস্টার ছাপানোর হিড়িক পড়ত। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ থাকলে তখন আমেজটা বেশি হতো। প্রতিটি আসনের প্রার্থী প্রতিযোগিতা করে পোস্টার ছাপাতেন। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। তবে প্রতীক পাওয়ার পর চাপ বেড়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রেস মালিক জানান, ‘কালির দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যে এক কৌটাকালি আগে ছিল ২ হাজার থেকে ২২শ’ টাকা, সেটি এখন কিনতে হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। এখন অনেক কাগজের কোম্পানি ও বড় বড় প্রেস মালিক নমিনেশনপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে পোস্টার, লিফলেট ছাপিয়ে দেন। ফলে তাদের ছাপাখানায় আসতে হয় না।’একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,১৮/২৩ মাপের একটি পোস্টার ছাপাতে সব মিলিয়ে খরচ পড়ে ৮টাকা, লিফলেট ছোটগুলো বানাতে খরচ পড়ে ১ টাকা থেকে ১ টাকা ৫০ পয়সা। তবে কাগজ-কালির মান ও সংখ্যা হিসাব করে দাম নির্ধারণ করা হয়। সর্বনিম্ন দুই হাজারের নিচে পোস্টার ছাপানো হয় না।’কাগজ ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি বাজারে নিউজ প্রিন্ট ও হোয়াইট কাগজের গুনগত মানভেদে টনপ্রতি দাম এখন ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে। অথচ এক বছর আগেও প্রতি টন ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হতো।