ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃ -নির্বাচন কমিশনের তফশিল অনুযায়ী আগামী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহন যোগ্য করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় ব্যালট পেপার পৌছানোর কাজ শুরু হয়েছে।
গাইবান্ধা ০৩ পলাশবাড়ী সাদুল্লাপুর আসনের নির্বাচনকে সামনে রেখে উৎসব মুখর পরিবেশে প্রচার প্রচারনায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
অন্যদিকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আছেন বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা এক তরফা নির্বাচন বর্জন ও সরকার পতনের আন্দোলন তীব্র জোরদার করায় পুর্বের মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার গ্রেফতার হয়েছেন অনেক নেতাকর্মী। গ্রেফতার পুলিশী হয়রানি এড়াতে আতঙ্কে ঘড় ছাড়া হয়েছেন বিএনপি জামায়াতের শত শত নেতাকর্মী। অনেকে জীবিকার তাগিদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপুর্ন শহরে পরিবার পরিজন নিয়ে অবস্থান নিয়েছে।
পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের পৃথক সুত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী থানার তিনটি মামলায় আসামী করা হয়েছে কয়েকশ নেতাকর্মী।
পুলিশ প্রতিনিয়ত এসব নেতাকর্মীদের বাড়ীতে তল্লাশী চালাচ্ছেন,বাড়ীতে না পেয়ে গালমন্দসহ হয়রানি করছেন।
ইতোমধ্যেই পলাশবাড়ী থেকে ১৬ জন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম রাজা, সাংগঠনিক মুকুল আহম্মেদ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহবায়ক শফিকুল ইসলাম লিফেজ,ছাত্র দলের সদস্য সচিব সোহেল, ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব সোহরাব বিএনপি নেতা মেহেদী হাসান ফজলার, সাকিল।জামায়াতের গ্রেফতার হয়েছেন মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন নেতাকর্মী।
বিএনপি জামায়াতের একাধিক সুত্রে জানায় গ্রেফতার আতঙ্ক থাকলে ও তারা চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জেল জুলুম নির্যাতন যাই আসুক চলমান আন্দোলন তারা চালিয়ে যাবেন।
পুলিশী হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আরজু মো: সাজ্জাদ হোসেন বলেন পুলিশ অহেতুক কাউকে হয়রানি করছে না। তবে সন্ত্রাস ও নাশকতার চেষ্টা করলে পুলিশ কাউকে ছাড় দেবে না।